মুন্সীগঞ্জে পানিবন্দি ২ শতাধিক পরিবার।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া মুন্সীগঞ্জ।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়িতে দিন দিন বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ দু উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবারের পাঁচ হাজার লোক এক সপ্তাহ ধরে এখনো বন্দি রয়েছেন। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকটে মানবেতর দিন কাটছে এ সকল মানুষের। ইতোমধ্যে পদ্মার পানির হাসাইল-বানারী, কামারখাড়া, দিঘিরপাড়, পাঁচগাও ইউনিয়নের কয়েক শত পরিবারের বসত ঘর, মসজিদ, সড়কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও মসজিদ, মাদরাসা, স্কুলসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বন্যায় পানি বন্দি হয়ে রয়েছে দুইশত পরিবার।
নদীর পানি ঢুকে যাওয়ায় চরাঞ্চলের সড়কগুলোসহ বিভিন্ন বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এতে দুভোর্গে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অসহায় এ সকল সাধারণ মানুষ না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। অনেক পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু সংখ্যক পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। টঙ্গীবাড়ির হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলী আকবর ঢালী জানান, এখনো সরকার থেকে কোন ত্রানসামগ্রী পাইনি। উপজেলা প্রসাশন থেকে নামের তালিকা চেয়েছে। কিছু নামের তালিকা দিয়েছি। আরও ২ শত নামের তালিকা দিব। পানিবন্দি মানুষগুলো অসহায় দিন যাপন করছে। কোন বিবরণ উপলভ্য নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন জানান, নদীগর্ভে বিলীন হওয়া অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে চাউল ও বিশুদ্ধ পানি করার জন্য ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। যারা পায়নি তাদের তালিকা ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে আমরা ইতিমধ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ে ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে পানিবন্দি পরিবার দের তিালিকা নিচ্ছি ।