পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৭১ শতাংশ ”রেলমন্ত্রী ।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ,মাওয়া মুন্সীগঞ্জ ।
পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৭১ শতাংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অগ্রগতি ৪০ শতাংশ” বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর মূল হলো সড়ক” আমরা চাই সেতুর একইদিনে যেন সড়ক-রেলের উদ্বোধন করা যায়। তা নিয়ে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি।
কোনো কারণে একদিনে উদ্বোধন করতে না পারলে দ্বিতীয় একটা চিন্তা করে রেখেছি। সে ক্ষেত্রে আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল অপারেট করা হবে।রেল সংযোগ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্পে এখন গ্যাসলাইন স্থাপন, প্যারাপেট, ভায়াডাক্ট কাজ চলছে। প্রকল্পের মাওয়া ও ভাঙ্গা পর্যন্ত ভায়াডাক্ট-২, ভায়াডাক্ট-৩ ও মূল সেতু মিলিয়ে রেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাওয়া ভায়াডাক্ট-৩ এর কাজ শেষে রেল চলাচলে প্রস্তুত হয়েছে।সরেজমিনে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা ঘুরে শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততার এমন চিত্র দেখা গেছে। কর্মরত প্রকৌশলীরা বলছেন, এখন কাজ অতি সামান্যই বাকি রয়েছে। তাঁদের ভাষায় ‘ফিনিশিং টাচ’ দেওয়ার কাজ চলছে হিসেব মতো।পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের ভায়াডাক্ট অর্থাৎ সংযোগ সেতুর দৈর্ঘ্য ৩.৬৭ কিলোমিটার। অর্থাৎ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯.৮২ কিলোমিটার। সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত মিশেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। উত্তর প্রান্তে সেতু শুরু হয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া এলাকা ।