শুক্ম মৌসুম আসতেই শুরু হয়ে গেছে আজ থেকে মাওয়া প্রান্তে সেতুর নদীশাসনের কাজ ।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া মুন্সীগঞ্জ।
শুক্ম মৌসুম আসতেই শুরু হয়ে গেছে মাওয়া প্রান্তে নদীশাসনের কাজ পদ্মাসেতু এখন বাঙালির এগিয়ে যাওয়ার স্মারক পুরু সেতু জোরে চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের কর্মযজ্ঞ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মুল সেতুর সড়ক পথের পাঁচ হাজার ৮৩৪ টি শেয়ার পকেটের কাজের বাকি রয়েছে মাত্র ৫৯২ টি বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১ এ পর্যন্ত সেতুর ৭হাজার ৫শ ৫৩টি পেরাপেট ওয়াল ,রেলিংয়ের এর মধ্যেই স্থাপন হয়েছে ৫৮৭১ টি । ফোর লেন সড়ক পথে মাঝে চলছে ডিবাইডার তৈরি ৭টি মডিউলে ভাগকরে । ৬টি এবং দুই প্রান্তে সংযোক সেতুতে যুক্ত হওয়া আরো দুইটি মোট আটটি এক্সপানশন জয়েন্ট রয়েছে । আজ বৃহস্পতিবার থেকে ১৯নাম্বার খুটি পয়েন্টে এ কাজ চলছে পুরোদমে আর নিচতলায় রেললাইনের এক পাশে গ্যাসলাইন এবং আরেক পাশে চলছে সার্ভিস ল্যাম্প তৈরি ।ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে জুনের মধ্যে সেতু চালু করার টার্গেট নিয়ে ।
শুক্ম মৌসুম আসতেই শুরু হয়ে গেছে মাওয়া প্রান্তে নদীশাসনের কাজ । পদ্মা সেতু চালু হওয়ার একেবারেই দোরগোড়ায় এখন মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ ।পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যাবে। জুনের মধ্যে সেতু চালু করার টার্গেট নিয়ে ।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে-যান চলাচলের উপযোগী করতে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ চলছে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে আর কোন শঙ্কা নেই। সব উদ্বেগ পেছনে ফেলে এখন এমনই দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সব কর্মযজ্ঞ এখন সেতুর ওপরে। শ্রমিকদের কর্মব্যবস্ততায় বেশ গতিতে এগুচ্ছে সড়ক নির্মানকাজ। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ করতে যেখানে কাজ চলছে দিন রাত ২৪ ঘন্টা-য়। এসব কাজের অগ্রগতিতে সেতুর ওপরে একটা বড় অংশজুড়ে দৃশ্যমান এরকম রাস্তা। যার উপরে এখন শুরু হবে রাস্তা কার্পেটিং এর কাজ।
সেতুর ওপরে সড়ক নির্মানের পাশাপাশি মাওয়া-জাজিরা দু-পাশেই পদ্মা সেতুর সঙ্গে সড়ক সংযোগে মনোযোগী সংশ্লিষ্টরা সবমিলিয়ে তাই-আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই আশ্বস্ত করছেন তারা পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকই নয়, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি স্থাপনা।
সেতু ঘিরে যে ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার কথা, তার ঘাটতি দেখা গেছে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায়। গেল জুলাই মাসেই সেতুর খুঁটিতে কহেক দফা ফেরির আঘাত লেগেছে। ফেরি শাহজালালের ধাক্কায় সেতুর ১৭ নম্বর খুঁটির সুরক্ষা বেষ্টনী বা পাইল ক্যাপের এক কোনার পলেস্তারা খসে পড়েছে। এমন অবস্থায় জাতীয় এই সম্পদ রক্ষায় আরও সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন সেতু-সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা।