এতে পিছিয়ে নেই কুমারভোগ ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।কুমারভোগ, খরিয়া, রানিগাও ও উয়ারীগ্রামের বাসিন্দারা জানান, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এলাকার ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী উত্তাপ ততই বাড়ছে। কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী, কে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন হবে সর্বত্রই- চলছে আলোচনা সমালোচনা।কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক, জনদরদী এবং টানা দুইবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুইবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান তালুকদার। তার বড় ভাই ওসমান গণি তালুকদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান।স্থানীয়রা জানান, লুৎফর রহমান সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মতবিনিময়সহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি করোনাকালীন সময়ে সরকারি বরাদ্দ দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগতভাবেও প্রচুর সহায়তা করেছেন গরীব-দুঃখীদের। সরকারি অনুদানের মধ্যে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, সরকারি ঘর, বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ তিনি শতভাগ সততার সঙ্গে যাচাই বাছাই করে দিয়েছেন।কুমারভোগ ইউনিয়নের এক তরুণ বলেন, লুৎফর রহমান চেয়ারম্যান বৃদ্ধ থেকে তরুণ- সব বয়সী মানুষের সবার সঙ্গে নিবিড়ভাবে মেশেন, মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন উটতি বয়সেরও ছাত্রদের সংঙ্গে চলাফেরা করেন বন্ধুর বান্দবের তো । অপরিচিত মানুষও তার কাছে গেলে মনে করার সুযোগ পাবেন না যে উনি একজন চেয়ারম্যান এবং অপরিচিত। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।কুমারভোগ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, লুৎফর রহমান তালুকদার ন্যায়বিচারক। দুইবারের চেয়ারম্যান মেয়াদে কেউ কখনো তার বিচার ব্যবস্থাপনায় অসন্তুষ্ট হননি। তিনি সমাজ সেবক, তিনি ইউনিয়নে দানবীর হিসেবে পরিচিত।রানিগাও গ্রামের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, লুৎফর চেয়ারম্যান দুই মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি সরকারি প্রকল্পগুলো শতভাগ সততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছেন। সেসব কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে কোথাও কোনো ঘাটতি থাকলে তিনি নিজের অর্থ ডোনেশন করেন থাকেন, আমরা এমনটাই দেখে আসছি।মুন্সীগঞ্জ জেলার ছাত্রলীগের উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমারভোগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য যখন জমি অধিগ্রহণ হয়, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। লুৎফর রহমান চেয়ারম্যান মাঠে থেকে মানুষজনকে বুঝিয়েছেন যে পদ্মা সেতু আমাদের এলাকার স্বার্থে হবে, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প। মানুষকে বুঝিয়ে তিনি সরকারি কাজগুলো আদায় করে নিয়েছেন। যখন যেখানে মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়েছে তিনি করেছেন। কোনো কাজের বিনিময়ে কখনো কারও কাছ থেকে তিনি এক টাকাও নেননি। এটা হলফ করে বলা যাবে। আমি যতটুকু দেখেছি, চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি শতভাগ ফেয়ার কাজ করেছেন।’নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে সরকার যখন লকডাউন দেয়, মানুষের কোনো কাজকর্ম ছিল না- সে সময় রাতের অন্ধকারে দুই হাজার পরিবারকে ২৫ কেজির এক বস্তা করে চাল, তেল, ডাল, চিনি দিয়ে সহায়তার করেছেন দুইভাই উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গণি তালুকদার ও ইউপি চেয়ারম্যার লুৎফর রহমান তালুকদার। যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই খাদ্যসামগ্রী পাঠান তারা।চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় লুৎফর রহমান তালুকদার লৌহজং উপজেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার সাথে দলের ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে।এবারের নির্বাচনেও লুৎফর রহমানকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি বিপুল ভোটে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন কুমারভোগ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।লুৎফর রহমান তালুকদার বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমরা আওয়ামী লীগ করে থাকি। আমার বাবা-মা আওয়ামী লীগ করতেন। আমার ভাই আওয়ামী লীগ করেন। সেইসূত্রে আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলাম। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে কাজ করেছি। ২০১২ সাল থেকে আমি কুমারভোগ ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এবং স্বয়ং আমাদের এমপি মহোদয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘লৌহজং উপজেলা এক বাজে রূপধারণ করেছিল গত সময়ে সরকার। এখানে আওয়ামী লীগকে কখনোই জেতানো যেত না। কিন্তু ২০০৮ সালে আমরা আসার পর থেকে আওয়ামী লীগকে যেভাবে শক্তিশালী করে তুলেছি তা আজ পর্যন্ত অব্যাহত আছে। অন্যান্য দলের কাছে আওয়ামী লীগ এখন ঈর্ষা করার মতো দল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি যখন থেকে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করি তারপর থেকে আমার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি হয়েছে। এ কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে আছে।’লুৎফর রহমান বলেন, ‘কুমারভোগ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর সঙ্গে একহয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা কাজ করি। ২০০৮ সাল থেকে তিনটা উপজেলা নির্বাচন করেছি, তিনটা জাতীয় নির্বাচন করেছি, আমার দুইটা নির্বাচন করেছি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং জয় লাভ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের উন্নয়নে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। সরকারি প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সরকারি বরাদ্দ সুষ্ঠু বণ্টনের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও আমি মানুষের পাশে দাঁড়াই সব সময়। আমি ইউনিয়নের উন্নয়নে শত শত সরকারি টিউবওয়েল ও পাকা পায়খানা স্থাপন করে দিয়েছি গরীব মানুষের জন্য। যেখানে এগুলো প্রয়োজন, সেখানেই করে দিয়েছি এবং সততার সঙ্গে কাজ করেছি। কখনো মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। ইউনিয়নবাসী আমাকে ভালোবেসে দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আগামীতেও সুযোগ পেলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো ইনশাআল্লাহ।’লুৎফর রহমান তালুকদার কুমারভোগ ইউনিয়নকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ইউনিয়নে আরও বেশি তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও মেধা যাচাইয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখতে চান এবং কুমারভোগ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি। কথা হয় কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা মোঃ পলাশ” খানের সাথে তিনি জানান,এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। সকল দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। মেধা,কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী ও মেধাবী মানুষ। যার ফলে উপজেলাবাসী তাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।