পদ্মাসেতুর সড়কপথের বহুকাঙ্ক্ষিত কার্পেটিং বা পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া ।
পদ্মাসেতুর সড়কপথে বহুকাঙ্ক্ষিত কার্পেটিং বা পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে ৬.১৫ কিলোমিটার মূল সড়ক পথের ।শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩৭ নম্বর পিলার থেকে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয় আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় । প্রথমদিন সড়কপথের দুই লেনে ৪৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থে কার্পেটিং করার টার্গেট নিয়েছে প্রকৌশলীরা। পুরো সেতুতে কার্পেটিং সম্পন্ন করতে সময় লাগতে পারে ৩-৪ মাস।’ পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথমদিন পদ্মাসেতুর ৩৭ নম্বর পিলার থেকে কার্পেটিং শুরু হয়ে শেষ হবে ৪০ নম্বর পিলারে গিয়ে। বর্তমানে ৬০ মিলি মিটার পুরুত্বে কার্পেটিং হচ্ছে। এরপর আবার ৪০ মিলিমিটার পুরুত্বে কার্পেটিং করা হবে।
সড়কপথে ৪ মিলিমিটার পুরুত্বে ওয়াটার প্রুফ লেয়ারের ওপর কার্পেটিং করা হচ্ছে। বর্তমানে সড়কপথের দুইটি লেনে কাজ হচ্ছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৪ লেনে কার্পেটিং করা হবে। তিনি আরো জানান, পেভার মেশিন দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। এ মেশিনটি ঢালাইয়ের মিশ্রণকে সড়কে ঢেলে দেয়। এরপর রোলার বা ফিনিসার মেশিন দিয়ে সমান করে থাকে ঢালাই র কাজটি।উল্লেখ্য, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৮.৭৫ শতাংশ।কার্পেটিং ছাড়াও পদ্মা সেতুর প্যারাপেট ওয়াল ও ডিভাইডারেও কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে নদী শাসনের কাজও। আর নিচতলার পূর্ব পাশে গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজও পুরোদমে চলছে। জাজিরা প্রান্ত থেকে গ্যাস লাইনের কাজ শুরু করার পর এখন দ্রুত কাজ শেষ করতে মাওয়া প্রান্ত থেকেও গ্যাস লাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সেতুর নিচতলার পূর্ব পাশ দিয়ে গ্যাস লাইন আর পশ্চিম পাশে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুকে যান চলাচলের উপোযোগী করার ক্ষেত্রে বাকি ছিল পিচ ঢালাইয়ের কাজ। আগামী বছরের জুনের আগেই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।