পদ্মাসেতু হয়ে গ্যাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলে এই একটি পাইপ দৈর্ঘ্য ১২ মিটার, ব্যাস ৭৬০ মিলিমিটার ।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া মুন্সীগঞ্জ ।
সেতুর ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার অংশে ৫৩১টি পাইপ বসানো হবে। বর্তমান সময়েও গ্যাসপাইপ নির্মাণ কাজ রেলপথ দিয়ে চলমান রয়েছে।লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্ত হয়ে পাইপলাইন দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে গ্যাস যাবে গোপালগঞ্জ-খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের কাছে।সে লক্ষ্য নিয়ে গ্যাসলাইন স্থাপনের কাজ চলছে পুরুদমে। সেতুর রেল লিংকের পাশ দিয়ে পাইপলাইন টি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ শালের আগস্টে মাসের প্রথমে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর রেলপথের পূর্ব পাশে থেকে।
এসব পাইপ স্থাপনের কাজ মূল সেতুর অংশে ৫শ”৩১টি বসানো হবে। এই একটি পাইপ দৈর্ঘ্য ১২ মিটার, ব্যাস ৭৬০ মিলিমিটার, ওজন পাঁচ দশমিক ৬৭ টন।২০২২ সালের জুন মাসে গ্যাস পাইপ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।মাওয়া প্রান্তের এক নং খুটি থেকে প্রথম থেকেই সেতুর শুরু হয়েছিল এ কাজ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিন টায়, ১০ নং খুটি পর্যন্ত এসে গ্যাস পাইপ নির্মাণের কাজ শেষ টি হয়েছে। একই সাথে শরীয়তপুরে থেকে ১৮ নং পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে।সেতুর”দুই পার -মিলিয়ে বাকি রয়েছে প্রায় ৭-৮ টি খুটির উপর পাইপ বসানোর কাজ।এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যস যাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ফলে এক পদ্মাসেতু শুধু সড়ক পথ নয়, রেলপথ ও গ্যাস সংযোগের সুবিধা দিতে যাচ্ছে তার কাজও অনেক টা এগিয়ে গেছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ( মূলসেতু ) দেওয়ান মোঃ আঃ কাদের বলেন, ২০২২ জুনমাসে পাইপ স্থাপনের কাজ শেষ হবে এতে কোন সন্ধেহনেই।এতে দক্ষিন অঞ্চলের মানুষদের এর মাধ্যমেই স্বপ্ন পূরণ হবে।
সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালকের দেয়া তথ্য মতে এখন পুরোদমে পদ্মা সেতু দিয়ে গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে । সেতুর দুটি পথ আছে, একটি সড়ক পথ অন্যটি রেলপথ। গ্যাসপাইপ নির্মাণের কাজ টি রেলপথ দিয়ে যাচ্ছে।এর আগে চীন থেকে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রকল্প এলাকায় গ্যাসপাইপ এনে সেতুর দুইপাড়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং শরিয়তপুরের জাজিরায়।সাতটি মডিউলে ভাগ করে ৬ দশমিক ১-৫কিলোমিটার সেতুতে ৬ দশমিক ৭০ কিলোমিটার গ্যাসপাইপ বসবে। এই পাইপলাইন সেতুর ১ নম্বর ও ৪২ নম্বর পিয়ার দিয়ে মাটিতে নামিয়ে আনা হবে। যুক্ত হবে জিটিসিএলের সাবস্টেশনে। সেতুর দুই প্রান্তে দুটি স্টেশন থাকবে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে গ্যাস লাঙ্গলবন্দ ব্রাঞ্চ স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর হয়ে লৌহজং উপজেলার মাওয়ার সাবস্টেশনে যাবে। এখান থেকেই গ্যাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলে।