মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষকেরা।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মুন্সিগঞ্জ।
মুন্সীগঞ্জে সবজি চাষে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি সুনাম রয়েছে বহু আগে থেকেই এ বছরও শ্রীনগরে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি ফুলকপি চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন অনেক কৃষক।
তুলনামূলক সব ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে এ অঞ্চলে বছরজুড়ে। সাধারণত দুই জাতের হয় পাতাকপি ও ফুলকপি এক থেকে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস কপি পাইকারী দরে বিক্রি করা হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। খুচরা বাজারে এসব কপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
উপজেলার,গাদিঘাট আম বাড়ি এলাকার কৃষক শহিদুল আলম জানান, এ বছরে ফুলকপির আবাদ করে আর্থিক লাভবান হয়েছেন। এরই মধ্যে জমির উৎপাদীত ফুলকপি থেকে আয় করেছেন প্রায় দেড় লাখ টাকা। ৬০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন তিনি খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আজ বৃহ_পতিবার সকালে দেখাগেছে জমি থেকে মাঝারি আকারের ফুলকপিগুলো বাজারে চাহিদা থাকায় সবজির পাইকাররা জমিতে দাড়িয়ে থেকে ফুলকপি উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন । প্রতিদিন কোন কোন ক্ষেত্রে অপেক্ষা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ভিন্ন ভিন্ন জমিতে ফ্রেস, সিরাজী ও হাইব্রিড জাতের ফুলকপির চাষ করা হয়েছে।পাইকার আফজাল উদ্দিন ও সুরুজ উদ্দিন বলেন, তারা দুই ভাই শ্রীনগর বাজার এবং লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজারে সবজির ব্যবসা করেন। ১০ দিন হলো এই ক্ষেতের কপি নিয়ে বিক্রি করছেন। বর্তমান শীতকালীন এই মৌসুমে এসব কপি খাওয়ায় বেশ সুস্বাদু হওয়ায় বিক্রি বেশী হচ্ছে তাদের, মোঃ হাফিজুর রহমান নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন তার দোকান থেকে প্রায় দুই শতাধিক ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বেশী থাকায় এখানে এসে প্রয়োজন মত কপি সংগ্রহ করে নিচ্ছি। মাঝারি সাইজের একটি ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি।কৃষক,মোঃ রোকনুজ্জামান ও আনিসুর রহমান বলেন, তারা নিজ জমিতে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কপির চারা রোপণ করেছেন। পাইকারী দরে এই পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। আরো ৩ হাজার পিস কপি বিক্রি করা যাবে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এগুলো সব বিক্রি হয়ে যাবে। ফুলকপি চাষে তারা সফল হয়েছেন,আগাম ধুন্দল চাষের চিন্তা রয়েছে তাদের এই সপ্তাহের পরেই । এই অঞ্চলে সবজি চাষে সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগীতা করা হলে এচাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বাড়তো। বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।