এ পথের  চালকরা অপেক্ষার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন পদ্মা সেতুর সর্বশেষ পিচ ঢালাইয়ের কাজের মধ্য দিয়ে। আজ বৃহস্পতিবার,(২৪মার্চ) মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে মাদারীপুর-শরীয়তপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হওয়ার পর এখন যেহেতু পিচ ঢালাইয়ের কাজও হয়ে যাচ্ছে অর্থেকের বশি,তাই স্বপ্নের পদ্মা সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে অনেক আগেই এখন গাড়ি নিয়ে পারাপার হবার অপেক্ষা,পদ্মা সেতু চালু হলে এরকম কষ্টের সীমা আর থাকবে না।

সেতু কৃতিপক্ষের দেয়া তথ্য বলছে আসছে জুনে অর্থাদ আর মাত্র আড়াই মাস সময় লাগবে সেতু সম্পূর্ণ গাড়ি চলার উপযোগী হতে। শিমুলিয়া বাংলাবাজার ঘাটে চলাচল রত ২শ পঞ্চাশ টি স্পীটবোট, ৮৭টি লঞ্চ, ছোট মিডিয়েম ৫টি ফেরি, দিয়ে পারাপার করা কর্মরত, চালক তাছাড়া বিআইডব্লিউটিসি,বিআইডব্লিউএর, কর্মকর্তা কর্মচারী,উভয় পারে কর্মরত থাকা থানা পুলিশ, ফাড়ি পুলিশ,আনছার,সহ বিভিন্ন বাহিনীর চাকরীরত,রয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী এবং

১৭ টি গাড়ি কোম্পানির প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের আয় রোজগারের প্রধান যোগানদার এ শিমুলিয়া নৌ বন্দরে।

যা কিনা রিতি মতো ভাবিয়ে তুলতে দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে আয় রুজির বিষয় নিয়ে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার ছায়া দেখা দিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের,ধারণা সেতু চালু হলে ঘাট থাকবে না কোথায় গিয়ে কি কর্ম করে সংসার চালাবে।

শিমুলিয়া ঘাটের গাড়ি চালক কামরুল মোল্লা বলেন, সেতু চালু হলে বছরের ৩ মাস কুয়াশার বিড়ম্বনা দুর্ভোগ নিয়ে পদ্মা পার হতে হয়েছে ফেরি, তার পরেও পারের অপেক্ষায় ঘাটে সিযিয়ালের জন্য সময় ব্যয় করা হয়েছে, পদ্মা সেতু তো হয়েই গেছে প্রায়!’ এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে না আর। অপর চালক নজরুল ইসলাম বলেন,’ বছর জুরে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর বসে থাকতে হবে না। সেতুর ওপর দিয়ে হনহনাইয়া চইল্যা যাবোগা ফরিদপুর,বেশি দিন বাকি নাই। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার  শীফ মিয়া ও কাঞ্চন মৃধা বলেন, গেল সপ্তাহে শুক্রবার দিন পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে দেশে যাচ্ছিলাম,গাড়ির জ্যামের কারণে  সকাল থেকে ৮টা পর্যন্ত ফেরির অপেক্ষায় ছিলাম ঘাটে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল হয়েছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে না পেরে ফিরে গিয়েছিলাম ঢাকায়।এ দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে আল্প সময় বাকি। পদ্মা সেতু চালু হতে বেশি দিন বাকি নাই! বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে,কয়েকদিন ধরে নৌরুটে ৫থেকে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। ছোট বড় পচনশিল মালামালের গাড়ি বেশি হওয়ায় কয়েকদিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন ও বাংলাবাজারের আক্তার হোসেন বলেন, গেল সপ্তাহে হে ‘ হটাৎ সকালের দিকে  শীত মৌসুমের কুয়াশা কারণে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল ব্যাহত হয় বেলা ১০ টা পর্যন্ত  ওই সময় দুর্ঘটনা রোধে বন্ধ রাখতে হয় নৌযান চলাচল। তবে এখন ছোট গাড়ির বেশি চাপ হওয়ায় কয়েকদিন ধরে ফেরি চলাচল হিম সিম খেতে হচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের এ বিড়ম্বনা থাকছেনা  আসছে জুনে।সেতু চালু হলে ।