পদ্মাসেতুর ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হলো।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া-
দেশের বড় এ প্রকল্পের (পদ্মাসেতু) শুরুথেকে আজ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছিল নির্মাণ কাজ তার এখন শেষ পর্যায়ে। খোলবে ভাগ্য দক্ষিন বঙ্গের মানুষ সহ পুরুদেশের। এর ধারাবাহিকতায় শেষ হলো ল্যাম্পপোস্ট বাসানোর কাজ সেতুতে এবার। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে, সোমবার দুপুরে সন্ধ্যায় পদ্মাসেতুর ৩৬তম স্প্যানে সর্বশেষ ল্যাম্পপোস্টটি বসানো হয় ।একটি থেকে আরেকটি ল্যাম্পপোস্টের দূরত্ব প্রায় ৩৮মিটার। সব মিলিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুতে বসাতে হয়েছে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট (বাতি) এসব ল্যাম্পপোস্ট রাতে আলোকিত করবে পুরুসেতু।
এর আগে গতবছরের ২৫ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে পরীক্ষামূলক ও গত ৯মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মূল সেতুর ৪০নং স্প্যানে পুরোধমে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৮৭টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে,প্রতিটি পোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি ও দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার।
এ ল্যাম্পপোস্ট (বাতি) গুলো চীন থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। ১৭৫ ওয়াটের এলইডি বাল্ব প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টেবসানোহবে,পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে সেতু। ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের এখন পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৯২ ভাগ। আর মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৭ ভাগ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজ বাকি আর মাত্র তিন ভাগ।