মতিন রহমান, মাগুরা থেকে।
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাগুরা সদর উপজেলা গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সামাজিক দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩শতাধিক বাড়িঘরে ভাংচুর করা হয়েছে ও কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোপালগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব এবং বর্তমান চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম মিলন সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাহারবাগ গ্রামের পাশ্ববর্তী কুল্লিয়া বাজার থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থিত আমিনুর নামে এক ইউপি সদস্যের ছোটভাই বাড়ীতে ফেরার পথে রাজিব গ্রুপের কয়েকজন তাকে পথ আটকে দেয়। পরে তাদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়।
এতে গুরুতর আহত হয় আমিনুর। পরে এখবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ঢাল শড়কি ও রমদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে গত মঙ্গল ও বুধবারের মারামারিতে কমপক্ষে ২০ জন লোক আহত হয়। আহতদের মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেয়। এছাড়া সংঘর্ষে প্রায় ২৫টি বাড়ীতে ভাংচুর করা হয় বলে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৩দিনের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩শতাধিক ঘরবাড়ী ভাংচুর হয়েছে এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬০ জন। হাতেগোনা কয়েকটি বাড়িঘর বাদে গ্রামের প্রায় সমস্ত বাড়ীতে কুপিয়ে ভাংচুর চালানো হয়েছে। গোপালগ্রাম ইউপি’র ৪ নং ওর্য়াড মেম্বার আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের বাহিরে থেকে লোকজন এনে ফজরের আযানের আগে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের লোকজনের ঘর ভাংচুর করেছে সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। অন্যদিকে, সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থিত জিয়া নামে একজন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন আগে আক্রমণ করলে পরে উভয় পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান নেয় ও সংঘর্ষ ও ভাংচুর চালায়। শুক্রবার (৫ আগষ্ট) গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মানুষ লুটপাট, ভাংচুর ও মারামারি আতঙ্কে তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। তবে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। এবিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।