1. rezaulalam000@gmail.com : সময় বাংলার :
  2. jmitsolution24@gmail.com : JM IT SOLUTION : JM IT SOLUTION
পদ্মাসেতুর প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের। | সময় বাংলার
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ... ||
সিরাজদিখানে ১৫ বছর ধরে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার ক্ষমা রানী দে! দেখার কেউ নেই সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং সিরাজদিখানে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতার উপর হামলা সিরাজদিখানে সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ! সিরাজদিখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন টেটাবিদ্ধসহ আহত ১ ২বাড়িঘর ভাংচুর সিরাজদিখানে ইউপি সদস্য শাহিন সরদারের সংবাদ সম্মেলন ১৮ বছর পর সিরাজদিখানে জামায়েত ইসলামীর কমী সন্মেলন সিরাজদিখানে বালুচর থানা পুলিশ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা সত্যিকারের দেশপ্রেমের দায়বদ্ধতার বোধ সৃষ্টি হয়েছে মুন্সীগঞ্জে জাকের পার্টির মহাসচিব সিরাজদিখানে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের ইয়াবা গাঁজা ও ফেনসিডিল সহ ৩০৮ মামলার আলামত ধ্বংস শ্রীনগরে রোটারী ক্লাব অফ বিক্রমপুর এর আয়োজনে ফ্রী  মেডিক্যাল ক্যাম্প সিরাজদিখানে তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিনিধীদলের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সিরাজদিখানে শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ্’র প্রতিনিধীদল পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সিরাজদিখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গোৎসব-জ্ঞানদীপ ঘোষ শারদীয় দূর্গাউৎসবে সনাতন ১৯৯৮- ২০০০ গ্রুপের বন্ধদের উপহার বিতরণ সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন বালুচর বাজারে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা করতে সভাপতি হিসেবে সৈয়দ আমির হোসেনকে চায় সিরাজদিখানে থানায় হামলা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের মামলায় আরো দুই আসামী গ্রেফতার সিরাজদিখানে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ! সিরাজদিখানে পদ্মহেম ধামে শরতের বিকালে সাঁইজীর বাণীর আসর অনুষ্ঠিত শ্রীনগরে প্রভাব খাটিয়ে মসজিদে অবৈধ কমিটি গঠন এলাকার মুসুল্লিদের নিন্দা সিরাজদিখানে ১২৮ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক বিতরণ ভারতে ইসলাম ধর্ম এবং রাসূল (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে নিমতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ সিরাজদিখান থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারগারে সিরাজদিখানে বুকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনতাই চেষ্টা সিরাজদিখানের কোলা ইউনিয়নে ২৮৫ জনকে টিসিবি’র পন্য বিতরণ শ্রীনগরে একাধিক মামলার আসামী এমারত শেখ ওরফে এমারত চৌকিদার গ্রেফতার সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় আহত-৫ সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভাংচুর ও  ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট

পদ্মাসেতুর প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের।

  • সময় বাংলার || মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২, ৬.৪০ পিএম
পদ্মাসেতুর প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের।
পদ্মাসেতুর প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের।

পদ্মাসেতুর প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের।


রুবেল ইসলাম তাহমিদ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মাওয়া থেকে।
প্রায় তিন যুগের আগে থেকে শিমুলিয়া মাঝিকান্দি,বাংলাবাজার নৌপথে চলছে ফেরি লঞ্চ ও স্পিডবোট এতে ২০ হাজার র পরিবার এখানকার আয় রোজগারের উপরেই খেয়ে পড়েদিন কাটিয়ে আসছিলেন তারা।এবছর পদ্মাসেতু পুরোপুরি কাজ শেষ  এবং তার উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট চালক এ পরিবার গুলোর মধ্যে। বলছিলাম ফেরি – ফেরি লঞ্চ-স্পিডবোট চালকদের কথা।
শিমুলিয়া ঘাটে সারি সারি স্পিডবোট বাঁধা মাসের উপড়ে, যাত্রীগন স্পিডবোট ফেরি লঞ্চ দিয়ে পদ্মানদী পারাপার না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চালকরা।পদ্মা সেতু চালুর পর শিমুলিয়া ঘাটকেন্দ্রিক দুই হাজার ২৫শ জন লঞ্চ ও স্পিডবোটচালক এবং খুদে ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই ব্যক্তিদের পরিবারের ওপর।বেকার হয়ে পড়া এই মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার। তবে তাঁরা আশায় আছেন সরকার তাঁদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে।
গতকাল-মঙ্গলবার ,শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চঘাটে সারি সারি লঞ্চ বাঁধা। তবে কোনো যাত্রী নেই। স্পিডবোট ঘাটেও বাঁধা কয়েকটি স্পিডবোট। সেখানেও দেখা মেলেনি কোন যাত্রীর যেখানে শত শত যাত্রীর দেখা মিলতো মাস খানেক আগে। ফলে সেখানকার খুদে ব্যবসায়ীদের দোকানগুলো বন্ধ।
নেই  চিরচেনা হকারদের ছোটাছুুটি। কর্মব্যস্তা শিমুলিয়া ঘাট এখন চুপচাপ ঝিমুনিতে। কয়েকজন লঞ্চ ও স্পিডবোটচালক বসেছিলেন যাত্রীর অপেক্ষায়। কিন্তু সকাল থেকে একটি লঞ্চও ছেড়ে যায়নি এই ঘাট থেকে। অন্যদিকে গত কাল শিমুলিয়া ঘাটের খুদে ব্যবসায়ীদের তাঁদের দোকানপাট গুটিয়ে নিতে বলেছেন ঘাট কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিমুলিয়া থেকে মাঝিকান্দি ও বাংলাবাজার নৌ রুটে ৮৭টি লঞ্চ, ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৫০টি ট্রলার চলাচল করত। প্রতিটি লঞ্চে একজন করে মাস্টার,  চালক, সুকানি, গ্রিজার, লস্কর, কেরানি, বাবুর্চি, ম্যানেজারসহ মোট ৯ জন কাজ করতেন। আর লঞ্চঘাটে মালিক সমিতির সুপারভাইজারসহ আরো ১৫ জন কাজ করতেন। সব মিলিয়ে ৮৭টি লঞ্চে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৭০০ জন স্টাফ। আবার ৮৭টি লঞ্চে একাধিক মালিকসহ দেড় শতাধিক মালিক রয়েছেন। তাঁদের পরিবার নির্ভর করত লঞ্চের আয়ের ওপর।
অন্যদিকে এই ঘাটে ১৫৫টি স্পিডবোটে দুজন করে প্রতিদিন কাজ করতেন প্রায় ৫০০ জন। আর ৫০টি ট্রলারে   প্রায় ২০০ জন। পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই বিপুলসংখ্যক কর্মীসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে।  ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন দুই হাজারের বেশি খুদে ব্যবসায়ী ও হকার। তাঁদের প্রতিদিনের উপার্জন দিয়েই চলত তাঁদের পরিবার। বেকার হয়ে পড়ায় বর্তমানে তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও কষ্টে পড়েছে। ঘাট বন্ধ হয়ে গেলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে আগে তা কেউ ভাবতে পারেননি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় বর্তমানে তাঁরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে ধারদেনা করে চলছেন। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা তাঁদের পুনর্বাসন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন। এমভি সাগরপারে লঞ্চের মাস্টার হায়দার হোসেন (৩৭) জানান, মা-বাবাসহ তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাতজন। মাসে বেতন পেতেন ৮-৯ হাজার টাকা। ওই টাকা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালাতেন।
এই রুটের লঞ্চগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে কষ্টে আছেন।লঞ্চ ঘাটে ফলের দোকান আক্তার হোসেন, মাঝি -ভাই,বোন, মা, মেয়ে, স্ত্রী সহ তাঁর ৭ সদস্যের পরিবার। তাঁর ওপরে পুরো পরিবার নির্ভরশীল। লঞ্চ চালানোর কোনো নিশ্চয়তা এখনো পাননি এনৌ পথে ফলে বড় অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন।এ পরিস্থিতিতে সরকারই পারে তাঁদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে বড় অক্ষেব করে বল্লেন।

প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের। 3 scaled

শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট মালিক আব্দুল মালেক বলেন, পাঁচ মাস আগে সাড়ে তিন লাখ টাকা কিস্তি তুলে একটি স্পিডবোট কিনেছিলাম। লাইসেন্স করতে সঞ্চয়ের টাকাও শেষ। ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন আমার মাথায় হাত।  এখন স্পিডবোটটিও বিক্রি করে দেওয়া যাচ্ছে না। একদিকে সংসার, অন্যদিকে কিস্তির টাকা, বড় বিপদে পড়ে গেলাম।

প্রভাব লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটের ফেরি লঞ্চ স্পিডবোট প্রায় ২৫শত চালকদের। scaled

লঞ্চ-স্পিডবোট মালিকরা জানান, প্রতিটি লঞ্চ ও বোটের জন্য তাঁরা লঞ্চ ৪০ তেকে ৫০ লাখ স্পিডবোট,চার থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। পদ্মা সেতু চালুর পর এসব হয়ে যাওয়ায় তাঁদের উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সংসার চালাতে তাঁরা বিপদে পড়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার মাওয়া জোনের নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর আমরা ৮৭টি লঞ্চের মালিক ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। সেতুর কারণে অন্য ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেলেও আমরা পাইনি। মাওয়া জোনের লঞ্চ হওয়ায় আমরা অন্য রুটেও যেতে পারছি না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমাদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হোক।
এদিকে বেকার হয়ে যাওয়া  আরেক  খুদে ব্যবসায়ী আ ছালাম  (৫৬) জানান, ১০-১২ বছর বয়েস থেকে পুরনো মাওয়া ঘাটে ফল বিক্রি করছেন তিনি। কয়েক দফা ঘাট পরিবর্তনের পর শিমুলিয়া ঘাটে ফলের ব্যবসা করছিলেন। তাঁর পরিবারে সদস্য সংখ্যা সাতজন। প্রতিদিন আয় হতো ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। এখন তার আয় শূন্যতা পরিনত হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘লঞ্চ, স্পিডবোট মালিক সমিতি, খুদে ব্যবসায়ী বা শ্রমিক সমিতিগুলোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি, লিখিতও দেয়নি। সরকার পর্যটনকেন্দ্রিক অনেক কিছু করতে যাচ্ছে।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন ||

আরও সংবাদ ||

                            @  SOMOYBNGLAR # কোনো লেখাছবিভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য

.