আলহামদুলিল্লাহ-মাশাআল্লাহ জাতীয় পরিভাষাগুলো কখন বলব।
সময় বাংলার অনলাইন – প্রতীকী ছবি
প্রাত্যহিক জীবনে আমরা বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করি।
এটা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিৎ ইসলামী পরিভাষাগুলো ব্যবহার করা।সৌজন্যবোধ জ্ঞাপন করে, কৃতজ্ঞা জানিয়ে কিংবা সুখবর শুনে আমরা কোন পরিভাষাটি ব্যবহার করব, তা উল্লেখ করা হলো- বিসমিল্লাহ প্রতিটি ভালো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করতে হয়। মন্দ কাজ ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই মন্দ কাজে বিসমিল্লাহ বলার প্রশ্নই আসে না। আলহামদুলিল্লাহ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। এটা আলহামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ । যেকোনো উত্তম, আনন্দ ও সুখবরে ভালো কোনো কিছুর জন্য এটি বলা হয়ে থাকে। পছন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলতে হয় ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি বিনিয়মাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত।’ অর্থ : সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর, যার করুণায় উত্তম কাজ সম্পন্ন হয়। আর অপছন্দনীয় অবস্থায় থাকলে কিংবা কিছু দেখলে অথবা শুনলে বলতে হয় ‘আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল।’ অর্থ : যেকোনো অবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। (সূত্র : তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ) মাশাআল্লাহ মাশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই এটির ব্যবহার। তবে আশ্চর্যজনক কোনো কিছু দেখলে এই শব্দ বলা যায়। অর্থাৎ যেকোনো সুন্দর ও ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন- মাশাআল্লাহ, তোমার হাতের লেখা তো অনেক ভালো।
ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ মহান আল্লাহ যদি চান, তাহলে…। ভবিষ্যতে হবে, ঘটবে বা করবো-এমন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নত। যেমন- আগামীকাল আমাদের কাজটি শেষ হবে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। আশ্চর্যজনক ভালো কোনো কাজ হতে দেখলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন- সুবহানাল্লাহ! গাড়িটি দুর্ঘটনাক্রান্ত হলেও যাত্রীরা পুরোপুরি অক্ষত রয়েছেন। আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। কোনো গুনাহ বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো অন্যায় হয়ে গেলে এটি বলা উচিত। নাউজুবিল্লাহ নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ : আমরা মহান আল্লাহর কাছে এর থেকে আশ্রয় চাই। যেকোনো মন্দ ও গুনাহর কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এই শব্দ বলা হয়ে থাকে। লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বাক্যটির অর্থ হলো, মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় ও সাহায্য নেই। সাধারণত শয়তানের কোনো প্রতারণা ও আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি পড়া হয়। ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন এ বাক্যের অর্থ হলো : নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর দিকেই ফিরে যাব। যেকোনো দুঃসংবাদ বা বিপদের সময় ইন্নালিল্লাহ পড়ার কথা হাদিসে রয়েছে। পবিত্র কুরআনেও আল্লাহ তাআলা তা শিক্ষা দিয়েছেন। হ্যালোর বদলে সালাম কারো সাথে দেখা হলে প্রথমে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে অভিবাদন জানাব। (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)। থ্যাংক ইউয়ের বদলে জাজাকাল্লাহ কাউকে ধন্যবাদ জানাতে জাজাকাল্লাহ বলুন। অথবা আরো বৃদ্ধি করুন, জাজাকাল্লাহু খায়রান। (মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন)। আল্লাহ হাফিজ ও ফি আমানিল্লাহ কারো কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় ‘টা টা’ না বলে বলুন, আল্লাহ হাফিজ (মহান আল্লাহ সর্বোত্তম হেফাজতকারী) বা ফি আমানিল্লাহ (তোমাকে আল্লাহর নিরাপত্তায় দিয়ে দিলাম)