পাবনা প্রতিনিধি ॥
পাবনার ঈশ^রদীতে রিক্সাাচালক মামুনকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আনোয়ার হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সপর্দ করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও অপর একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে ও আরো একজনকে গ্রেফতার করেনছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব ৫জনকে গ্রেফতার করেছে।
আজ দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, ঈশ^রদীর পশ্চিম টেংরি এলাকায় ভুটভুটি ও পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনোয়ারের গুলিতে রিক্সাচালক মামুন মারা যায়।ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত বুধবার থেকে তিনদিনে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লার আনোয়ার হোসেন (৩৫), আকরাম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (২৬) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিবকে (১৭) গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি। গ্রেপ্তারের পর আনোয়ারকে তিনদিনের ও ইব্রাহিমকে পুলিশ একদিনের রিমান্ডে নেয়। একদিনের রিমান্ড শেষে ইব্রাহিম হত্যায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালকে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ আনোয়ার কে আদালতে সপর্দ করা হয়ে।
গত ৪ জানুয়ারী রাত ৮ টচার দিকে ভুটভুটি ও পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় পৗর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার রিক্সা চালক মামুনকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে চারজনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো তিন-চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরদিন র্যাব অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন এবং তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।