সিরাজদিখানে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষনের অভিযোগ।
সিরাজদিখান মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়নের চিকনিসার গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাঈমের বিরুদ্ধে এক সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভব দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে গত শুক্রবার সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযোগ ঐ নারি উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মৃত মোঃ মমিনুল ইসলাম প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর সিরাজদিখান উপজেলায় চাকরি করিতেন। চাকুরীতে কর্মরত থাকাঅবস্থায় গত দেড় বছর পূর্বে মোটর সাইকেল দুঘটনায় মৃত্যু বরন করেন। আমার স্বামীর মৃত্যুবরনের পর তার চাকুরীর কর্মস্থলে বিভিন্ন কাজে আশা যাওয়ার সময় আমার স্বামীর বন্ধু মোঃ নাঈম (৩২) আমাকে বিয়ে করবে এবং আমার একমাত্র মেয়েসহ ঘর সংসার করবে বলে প্রস্থাব দেয়। আমি তার কথায় প্রথমে রাজি না হলে পরে আমার পরিবার ও মেয়ের কথা ভেবে রাজি হই। আমাকে সে বিয়ের আশ্বাস দিলে আমি বিভিন্ন সময় তার সাথে বিভিন্ন যায়গায় দেখা করতো।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক আমার সাথে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এখন আমি তাকে বিয়ের জন্য বললে সে বিয়ে করবে বলে আমাকে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরাইতে থাকে। গত ২৫শে ডিসেম্বর বেলা ১১ টার দিকে মালখানগর পশু হাসপাতালে গেলে নাঈম সহ সিরাজুল ইসলাম,সেলিনা খানম (৪৫), আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করেন।এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.নাঈম জানান, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সে সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে আমার চেনা-জানা আছে। তার স্বামীর মারা যাওয়ার পরে বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে সে টাকা পয়সা নিতো। সে টাকা পয়সা ওই নারীর কাছ থেকে চেয়েছিলাম। সে আমাকে বিয়ে করতে বলে। আমি না করায় আমার উপরে ধর্ষণের অভিযোগ চাপানো হচ্ছে।তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই মো. মাহবুব জানান, গত শুক্রবার ওই নারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এর প্রেক্ষিতে দুপক্ষকে ডাকা হয়। শনিবার বিষয়টি মিমাংসার জন্য বসার কথা ছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টির সমাধান না হলে এটি মামলায় রূপান্তর করা হবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।