সময় বাংলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চাঁদা না দেওয়ায় ফের বাড়ির দেয়াল ও নির্মানাধীন আধা পাকা ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আল হাসাব ও মাঈনুদ্দিনর বিরুদ্ধ। গলা রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নর চরগুলগুলিয়া গ্রামের বাহাদুরের ভিটা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে হামলার শিকার হয়ে দুজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন মো.সোহেল (৩৯) মো,সিপন (৩২)। তাদের উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতরদুজনকে ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতাল পাঠায়।
পুলিশ ও ¯স্থানীয়রা জানায়, আল হাসাব ও মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে জামাল,হানিফ মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন ব্যক্তি রুমেল হোসেন আধা পাকা ঘর নির্মাণ করায় তারা চাঁদা চায়। রুমেল হোসেন চাঁদা না দেওয়ায় নির্মানাধীন অবকাঠামো ও আসবাব ভাঙচুরসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এ ঘটনায় রুমেল হোসেন বাদী হয়ে আল হাসাব,মঈনুদ্দিন,জামাল,হানিফ মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো ৪ জনের নামে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী রুমেল হোসেন জানান, গত রোববার বেলা সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের বাহাদুর ভিটা সংলগ্ন এলাকায় আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আল হাসাব,মঈনুদ্দিন,জামাল,হানিফ মিয়া সহ ১০-১৫ জনর একটি গ্রুপ। এ সময় আমাদের দুজন ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করে। আমরা তাদের হাসপাতালে নিলে বাড়ি ফাকা পেয়ে রোববার দিবাগত রাতে ওরা আমাদের নির্মানাধীন বাড়িঘর ভাংচুর করে।
তিনি আরো বলেন, আল হাসাব ও মাঈনুদ্দিনকে প্রথম কিছু টাকা দিয়েছি। আবার তাঁদের দাবি অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে আমি অস্বীকার করায় আমাদের ওপর দফায় দফায় হামলা করেছে। এতে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ছাড়াও আমাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। তাদের নামে সিরাজদিখান থানায় ৪ টা সহ আদালত ও একাধিকবার মামলা করেছি। কি্ন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিন বলেন, রুমেল হোসেনদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের নিজেদের ¯স্থাপনা নিজেরাই ভেঙ্গে আমাদর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে। আমাদের জমি তারা না ছেড়ে উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত না করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা নিচ্ছে। আমরা কার কাছে যাব সেটা বুঝতে পারছি না। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুল হক বলেন, ‘ইতিপূর্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারামারিসহ চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তখন তাঁদের গ্রেফতার করে আদালত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে ফের একই ধরনের ঘটনা শুরু করেছেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।