স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | পাবনা |
নিখোঁজের দুইদিন পর পাবনা-কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী শিলাইদহ পদ্মা নদীর ঘাট এলাকা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিমত কোম্পানির গাড়িচালক সম্রাট হোসেনের (২৯) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় একটি বিলাসবহুল প্রাডো জিপ গাড়ি। শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের শিলাইদহ পদ্মা নদীর ঘাট এলাকায় বিলাসবহুল প্রাডো জিপ গাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সম্রাটের বন্ধু ঈশ^রদী উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে (৩০) আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন মমিন। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জিয়াউর রহমান জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রসাটমের নিকিমত কোম্পানিতে গাড়ি চালাতেন সম্রাট। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সম্রাট তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিলো।
পরদিন শুক্রবার অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার খোঁজ না পেয়ে ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়রি করেন সম্রাটের পরিবারের সদস্যরা। শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে পাবনা-কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের শিলাইদহ গ্রামের পদ্মানদীর ঘাট এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। গাড়িটির অবস্থান সন্দেহজনক মনে হলে লোকজন পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাডো জিপের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সম্রাটের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহটি সম্রাটের বলে শনাক্ত করেন। এর আগে বিভিন্ন সূত্রে ধরে পুলিশ ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা এলাকার বাসিন্দা ও নিখোঁজ সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। সে সময় মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। নিহত সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বলেন, আমার ছেলে সম্রাট তার বন্ধু মমিন ও মমিনের স্ত্রী সীমাকে চাকরি দিয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যে তাদের চাকরি চলে যায়। আবারও তাদের শ্রমিক হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেয় সম্রাট। আমার ছেলে নিকিমত কোম্পানিতে কয়েকটি গাড়ি ভাড়াও দিয়েছিলো। প্রতি মাসে বড় অংকের টাকা বিল তুলতো সে। বৃহস্পতিবার বিল হয়। কৌশলে আমার ছেলেকে মমিন ও তার স্ত্রী ডেকে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে হত্যা করছে বলে ধারণা করছি। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, নিহত সম্রাটের পরিবার ও গাড়ির মালিকের তথ্যের ভিত্তিতে বাঁশেরবাদা এলাকায় মমিনের বাসায় অভিযান চালানো হয়। মমিনের স্ত্রী সীমাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। পলাতক মমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কুষ্টিয়ায় কুমারখালি থানা পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।