সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | মোংলা
মোংলায় বিয়ের প্রলোভনে এক যুবতীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় ধর্ষক সোহাগ হোসেনকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার (২ এপ্রিল) ভোরে মোংলা থেকে অন্যাত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় মোংলার মামার ঘাট থেকে অভিযোন তাকে গ্রেফতার করা পলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার যুবতীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষককে রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেমোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বাদীর দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ছয় মাস পূর্বে পৌর শহরের আঁখি সিনেমা হল এলাকার বাসিন্দা কাদের হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন প্রাই ওই যুবতীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ঘটনার এক পর্যায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ প্রেমর সম্পর্কের সুত্রধরে গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় সোহাগ তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে শহরের ‘সিঙ্গাপুর আবাসিক’ হোটেলে ডেকে নিয়ে আসে। ওই হোটেলের ১০নং রুমে রাত্রী যাপন করে দুজনে। যুবতীর সরল বিশ্বাসে বিয়ের প্রলোভনে ওই হোটেলে দুইদিন ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর রপুর্বক ধর্ষন করে প্রতারক সোহাগ হোসেন। পরে তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে গত ১ এপ্রিল সকালে ধর্ষক সোহাগ তাকে বিয়ে করবে জানিয়ে ওই যুবতীকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসার জন্য হোটেল থেকে বাড়ীতে পাঠায়। এরপর যুবতী আইডি কার্ড নিয়ে হোটেলে এসে সোহাগকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন করে সে। ফোন বন্ধ পেলে তখন সে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সোহাগের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন যুবতী। সেই মামলায় গ্রেফতার করে তাকে রবিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠায় মোংলা থানা পুলিশ। পাশাপাশী ধর্ষনের ঘটনায় তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানায় ওসি মনিরুল ইসলাম।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।