আবু হাসানুল হুদা রাশেদ,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | গাইবান্ধা
চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে ব্যয় হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। এ নিয়ে সারাদেশে মোট ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন সরকার প্রধান। এরে ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মিত হয়েছে ৫টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সোমবার (১৭ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হানিনা ।
এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধার উদ্ধোধনকৃত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো হচ্ছে—গাইবান্ধা জেলা সদর, সাদুল্লাপুর উপজেলা, সদর উপজেলা, ফুলছড়ি উপজেলা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্মিত মসজিদ । এ উপলক্ষে গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম কোর্ট,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবির, পিয়ারুল ইসলাম, মো. মতলুবর রহমান,জেলা যুবলীগের সাঃসম্পাদক শাহ আহসান রাজীব,প্রমুখ। আর দিকে সাদুল্লাপুর অডিটোরিয়াম রুমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে মসজিদ উদ্বোধন কালে ও মডেল মসজিদের ফলোক উন্মোচন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল সরকার, সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খাঁন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহেল কবির ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব বাবু,সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পদক এসটিএম রুহুল আমিন,বীরমুক্তিযোদ্ধা রশিদ আজমী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে পূর্ব দিকে সাদুল্লাপুর টু গাইবান্ধা সড়কে ১ কিলোমিটার দুরে এ মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অবস্হান। অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন এ মডেল মসজিদ। গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুত্রে জানা যায়, এসব মডেল মসজিদে একই সঙ্গে সহস্রাধিক মুসল্লির নামাজ আদায় করতে পারবে। সেইসঙ্গে নারীদের আলাদা ওজু ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। থাকছে ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, লাইব্রেরি, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ সেন্টার, ইসলামী গবেষণা ও দাওয়া কার্যক্রম, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, অতিথিশালা, পবিত্র কুরআন হেফজ, মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা ইত্যাদি। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে। গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানকার মডেল মসজিদগুলো জন্য পেশ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিম নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।নিয়োগকৃত পেশ ইমামের মাধ্যমে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীসহ সবার জন্য স্ব-স্ব মসজিদে মুনাজাত করা হয়। বাদ যোহর হতে নামাজ শুর হবে। উল্লেখ্যঃ সর্বশেষ তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে নির্মিতব্য ৫৬৪টির মধ্যে ২০০ মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় স্থাপন করতে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে গ্রহণ করে সরকার। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।