ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | মোংলা
পুর্ব শত্রæতার জের ধরে নারী সহ ৪ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এক দল সন্ত্রাসীরা। রোববার দুপুরে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি ঘোল বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশ। তবে সজিবের অবস্থা আসংঙ্কা জনক। পুলিশ-প্রত্যাক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, র্দীঘ দিন থেকে জয়মনি এলাকার স্থানীয় কয়েক বখাটে যুবকদের সাথে স্থানীয় ব্যাবসায়ী নুর আলী পরিবারের পুর্ব শত্রæতা চলে আসছিল।
এ নিয়ে ওই সকল সন্ত্রাসীরা ক্ষমতার দাপটে বেপড়োয়া হওয়ায় ও মাদকাশক্ত এসকল যুবকদের কর্মকান্ডে স্থানীয় ভাবে তাদের বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় জনপ্রতিনিধিরা। রোববার দুপুরে বটতলা এলাকায় ব্যাবসায়ী মোঃ নুর-আলী শেখ’র ছোট ছেলে মোঃ সজিব তাদের নিজ দোকানের সামনে কাজ করছিল। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজিবের উপহার হামলা ও মারপিট শুরু করে বলে জানায় পিকা নুর আলী শেখ। ছেলে সজিবের ডাক চিৎকার দিলে তাকে বাঁচাতে মা রহিমা বেগম, বাবা নুর আলী শেখ ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া সজিবকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও বেপড়োয়া ভাবে মারধর করে আহত করে মাদকাশক্ত বখাটে ওই সকল সন্ত্রাসীরা। এছাড়া নারীদের পড়নের কাপর ছিড়ে ও টেনে হেছড়ে শ্লিতাহানী ঘটনায় বলে অভিযোগ করে নির্যাতনের স্বীকার ভুক্তভোগীরা। এসময় তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানেও লুটপাট ও ভাংচুর করে বলেও থানায় দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে সজিব সহ অন্যান্য আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সজিবের অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় নুর আলী শেখ বাদি হয়ে সুলতান শেখ’র ছেলে সোহেল শেখ, জুয়েল শেখ, আল মামুন, আল মাসুদ, মাহবুব শেখ’র ছেলে মোঃ মিলন শেখ, জাবের আলী শেখ’র ছেলে ইদ্রিস শেখ ও কাশেম আলী শেখ’র ছেলে সুলতান শেখ সহ অজ্ঞত নামা আরো ১২/১৩ জনের নামের মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করেছে ভুক্তভোগী নুর আলী শেখ। তবে ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও আসামীরা পলাতক থাকায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনী পুলিশ। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, চিলা ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় পুর্ব শত্রæতার জেল ধরে মারামারীর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে অভিযোগও হয়েছে মোংলা থানায়, এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত ও অভিযান অব্যাহতম রয়েছে এবং আসামীদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।