সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট। সময় বাংলার। নড়াইল।
নড়াইলের লোহাগড়ার লক্ষীপাশা গ্রামে আদালতে আদেশ অমান্য করে জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি লোহাগড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে আদালতের আদেশ অনুযায়ী স্থিতিতাবস্থা বজার রাখতে বলেছেন। এ ঘটনাকে অন্য দিয়ে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লোহাগড়ার ফরিদ আহমেদ বিশ্বাসের স্ত্রী আলেয়া বেগম নড়াইলের পুলিশ সুপারের নিকট লোহাগড়া থানার ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আবেদন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশা গ্রামের একটি জমির বিরোধ নিয়ে শরিকদের মধ্যে মামলা চলছে। দেওয়ানী মামলা নং ৬১/২০। বিগত ২২/০৩/২১ ইং তারিখে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত এক আদেশে উক্ত জমিতে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ফরিদ আহমেদ বিশ্বাসের স্ত্রী আলেয়া বেগম ও ছেলে বিএম ইমরান হোসেন আদালতের নিদের্শ অমান্য করে উক্ত জমিতে নতুন করে নির্মান কাজ শুরুর পায়তারা করেন এবং ওই খানে আগে থেকে বসবাসকারি লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশা গ্রামের বি এম জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যদের কে ভয়ভীতি দেখান। বি এম জাহাঙ্গীর আলম গত ০৬/০৫/২০২৩ তারিখে লোহাগড়া থানায় গিয়ে লোহাগড়া থানার ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান এর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সয়য় তিনি বিবাদীকে ফোন করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয় জানতে চান। তখন বিবাদীর পক্ষের বিএম ইমরান হোসেন জানান যে জমিতে যে ১৪৪ ধারা ছিল তা খারিজ হয়ে গেছে এবং এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র আছে আমার কাছে। এ সময় তার কাছে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি থানায় না এসে একজন মহিলা ১৪৪ ধারার সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আসেন । এ সময় লোহাগড়া থানার ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান তার কাছে দেওয়ানি মামলা নং ৬১/২০ এর কাগজ দেখতে চাইলে তিনি সেই কাগজ আনার কথা বলে চলে যান। পরে আর থানায় আসেননি। ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশা গ্রামের বি এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন , ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমানকে চলমান মামলার কাগজপত্র দেখাই। বিজ্ঞ আদালত উক্ত স্থানে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার যে আদেশ দিয়েছেন তা তাকে দেখাই। এ সময় তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে, তাই সেখানেই বিষয়টি ফয়সালা হবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।