অপহরণ ও ধর্ষন চেষ্টা মামলার দুই আসামী গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার।
আরিফ হোসেন হারিছ, সিরাজদিখান
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অপহরণ ও ধর্ষন চেষ্টা মামলার ১ও ২ নং আসামী অনু বেপারী (৪৬) আব্বাছ উদ্দিন রাশেদ (৩৮)কে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখরনগর তদন্তকেন্দ্রের এসআই শাহিন ভুঁইয়া চিত্রকোট ইউনিয়নের গিরিনগর ও খারশুল হাই স্কুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেন ও ভিকটিম কে উদ্ধার করেন।
এজাহার সুত্রে জানাযায় ৯ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারগুল গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলাম উজ্জল এর বসত বাড়ীর উঠানে ১৫ বছরের কিশোরী দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় আসামী অনু বেপারী ডাক দেয়।ডাক শুনে কিশোরী অনু বেপারীর নিকট এগিয়ে গেলে কিশোরীকে অসৎ উদ্দেশ্যে তাহার সাথে যেতে বলে।কিশোরী আসামী অনু বেপারীর প্রস্তাবে রাজি না হলে সে হাত ধরে টানা হেচড়া করে এবং তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক কিশোরীর স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করে। একপর্যায়ে আসামী অনু বেপারী অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামীর সহায়তায় কিশোরীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।বাদী স্থানীয় জনৈক মোরশেদ মোল্লা উজ্জল (৪৭), পিতা-মৃত আরফান মোল্লা, সাং-গিরিনগর, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সীগঞ্জ এর নিকট হতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুঁজি করে। পরবর্তীতে জনৈক শহিদুল ইসলাম উজ্জলের বাড়ীতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও উক্ত ঘটনা দেখতে পেয়ে আসামী অনু বেপারীকে সনাক্ত করে।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন জানান,গত ৯ ডিসেম্বর উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারগুল গ্রামের ১৫ বছরের কিশোরী অপহরণের ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।আমরা অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করি ও দুই আসামীকে গ্রেফতার করি।আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৯ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারগুল গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলাম উজ্জল এর বসত বাড়ীর উঠান হতে ১৫ বছরের কিশোরী অপহরণ হয়।১০ ডিসেম্বর কিশোরীর মা সাগরী বেগম (৩৫) বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানা একটি শিশু অপহরন ও ধর্ষন চেষ্টার ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।