রাজদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুকুট সন্ত্রাসী কায়দায় নিজেকে স্বঘোষিত মোতওয়াল্লী ঘোষণা।

আরিফ হোসেন হারিছ,মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে রাজদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতওয়াল্লী পদ দখলে মুকুট বাহিনী প্রধান মুকুট সন্ত্রাসী কায়দায় তান্ডব চালিয়ে নিজেকে স্বঘোষিত মোতওয়াল্লী ঘোষণা করেন।এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মসজিদের মুসল্লী ও গ্রামবাসীরা। মসজিদকে দখলমুক্ত করার জন্য সকলে একাত্মতা পোষণ করেন। এলাকাবাসীর দাবী উঠেছে মসজিদে বিশৃঙ্খলাকারী জবরদস্তকারী আওয়ামী নেতা মুকুট খান তার ভাগিনা সন্ত্রাসী বখাটে দিপু আহসান ও মসজিদে জুতা নিক্ষেপকারী মাদকসেবী উল্লাস খানকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেবার। মুসল্লীরা খুব শীগ্রই মোতওয়াল্লী ঘোষণা করে কমিটি করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায় উপজেলা ইছাপুরা ইউনিয়নের রাজদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতওয়াল্লী পদ দখল করার জন্য  ২০২২ সালের ১৮ মার্চ  মুকুট বাহিনী সন্ত্রাসী কায়দায় তান্ডব চালায়। তার ভাগিনা বখাটে দিপু আহসান মুসল্লীদের নাজেহাল করে। তার চাচাতো ভাই মাদক সম্রাট উল্লাস খান মসজিদে জুতা নিক্ষেপ করে মসজিদ অপবিত্র করেন।এবিষয়ে কয়েকটি পত্রিকায় তথ্য প্রকাশ হয়।গ্রামবাসীর মতে মুকুট বাহিনীর  উপদেষ্টা আপেল ভূইয়া, মোহাম্মদ আলী খান, হাসান খান খোকা তাদের উস্কানিতে এঘটনা ঘটতো। নীরীহ মুসল্লীরা তাদের কাছে বিচার চেয়েও কোন প্রকার বিচার পায়নি। থানায় ও ইউএনও  অফিসে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার মেলেনি সব দলীয়করণ ছিল অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। মসজিদটি ১৯৪৬ সালে ওয়াকফ হয়। ৩৬ জন দাতার মধ্যে অধিকাংশ দাতা ও মুসল্লীররা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা হাজী নুরুল ইসলাম খানের পক্ষে মোতওয়াল্লী হবার মতামত দেয়। এ মতামতকে  পাশ কাটিয়ে মুকুট বাহিনীর হোতা মুকুট নিজেই নিজেকে স্বঘোষিত মোতওয়াল্লী ঘোষণা করে ব্যনার লাগিয়ে মুসল্লীদের বিভ্রান্ত করতো।

জানা গেছে কৃষি কর্মকর্তা মুকসুদ খান মুকুট  সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে দাবিয়ে বেড়াতোমসজিদে সমাজে বিশৃংখলা করতো। তারা এতই ক্ষমতাবান ওয়াজে মসজিদে দান করা টাকার হিসাব দিত না।