শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : শ্রীনগরে আবাসিক এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে ইট বালুর একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ছয়শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ও এলাকাবাসী।এতে একাধিকার প্রতিকার চেয়েও অভিযোগ করলে কোন সুফল বয়ে আনেনি। জিম্মি হয়ে আছে্ই প্রাইমারী স্কুলের কোমলমী শিক্ষার্থীরা প্রভাবশালী ইট বালুর ব্যবসীদের কাছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার দক্ষিণ পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ইট-বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সামনে বিশাল স্তপ করে রাখা হয়েছে বালু, থরে থরে সাজানো রয়েছে ইট। দক্ষিণমুখী ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করছে বাতাসের সঙ্গে সেই স্তপ করা বালু ও ইটের ধুলো। এতে করে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে জিম্মি হয়ে আছে স্কুলে উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেপারী এন্টারপ্রা্ইজের প্রোঃ স্থানীয় প্রভাবশালী হালিম বেপারী, ডিএম, আসলাম ঐ বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে অবস্থিত পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন করে বিদ্যালয়টির সামনে রেখে প্রতিনিয়ত অন্যত্র ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।প্রতিদিন বালূ উত্তোলন করায় এবং ইট নামানো উঠানোর সময় প্রচুর পরিমান বালু ও ধুলো দক্ষিন মুখী দরজায় থাকা স্কুলটির ভিতরে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষাথীদের নাক মুখ দিয়ে যাওয়ার ফলে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে তারা। এধরণের ভোগান্তির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম হয়। এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে স্কুলের পাঠদান। পাশে থাকা দুতলা জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবুও এ ইট, বালু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি আমরা। একাধিকবার আমরা মৌখিকভাবে তাদের বলেছিলাম স্কুল ও মসজিদের সামনে এ ধরনের ব্যবসা করার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। এতে কোনো কাজ তো হয়নি বরং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বেপারী। হালিম বেপারীসহ তার ছেলে মাসুম ও ভাগিনা রোমানের ভয়ে কেউ তাদের কিছু বলতে পারে না। এ বিষয়ে ইট বালু ব্যবসায়ী বেপারী এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ আব্দুল হালিম বেপারী বলেন, আমি প্যারিসের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে এ ইট বালু ব্যবসা করছি এতে করে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত তিন বছর পূর্বে ইট বালুর ব্যবসায় কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছিল। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিকদার মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাহিলে তিনি বলেন, আমি অনেকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এধরনে ব্যবসা না করার জন্য এব্যবসায়ীদের বলেছি। কিন্তু তারা মানেনি। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, ভুমি অফিসসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তৎকালীন সময়ে তদন্তও হয়েছিল এতে করেও ব্যবসা বন্ধ হয়নি। ধুলোবালি ময়লাযুক্ত বাতাসে আমাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।