সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর সংযোগ খাল ও অন্যের দখল করা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠান। এসব হাউজিং কোম্পানিতে জমি কিনে দেয়ার নামে রয়েছে শতাধিক জমি কেনাবেচার সিন্ডিকেট। তারা হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রথমে হাউজিং কোম্পানিগুলোকে সুকৌশলে একটি জমি ক্রয়ের পর মাটি ভরাটের নামে ওই এলাকার সব কৃষকের জমি ভরাট করে ফেলে। এরপর প্রকৃত জমির মালিককে মাটি ভরাটের দাম পরিশোধ করতে বলা হয়। জমির মালিক মাটি ভরাটের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে তার জমি বিক্রি করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় হাউজিং কোম্পানির পক্ষ থেকে। জমির মালিক হাউজিং কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্যে তার জমি বিক্রি করতে রাজি না হলে তাকে প্রথমে সিন্ডিকেটের লোক দ্বারা হুমকি দেওয়া হয় তাতেও কাজ না হলে হামলা মামলাসহ বিভিন্ন নির্যাতন করা হয় জমির মালিকের উপর।
সরকারি অনুমোদন ছাড়া সহস্রাধিক বিঘা জমি দখলে নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে
সিরাজদিখান উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয়দের দাবী । এতে উপজেলার সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ তাদের ফসলি জমি হারিয়ে পথে বসেছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, উত্তরন হাউজিং কোম্পানি সুমনা হাউজিং কোম্পানি গ্রীন সিটি হাউজিং কোম্পানিসহ বেশির ভাগ
কোম্পানিই কোনো অনুমোদ নেই। তারা খাস জমি ও সংরক্ষিত জলাভূমি ভরাট করে অবৈধভাবে হাউজিং ব্যবসা করছে। তবে সরকারি খাস জমি ও অন্যের জমি জোর করে মাটি ভরাটের প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে।
উপজেলার রামকৃষ্ণদী গ্রামের মৃত কুটু মিয়ার ছেলে মোঃ নুরু মিয়া বলেন এসব হাউজিং কোম্পানি এলাকায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে উত্তরন হাউজিং দালাল জিয়াউল হক মাস্টার আমার জমি দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করেফেলেছে। আমি আমার জমিতে গেলে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারধর করে। আমি বালুচর ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত পূর্ব চান্দেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো জিয়াউল হক জানান আমাদের জমি আমরাই বিক্রি করেছি উত্তরন হাউজিং কোম্পানিতে আমরা কোনো মারপিট বা হুমকি দেই না।
এবিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার জানান এ সকল কোম্পানির নামই আমার জানা নাই তবে তারা যদি অনুমোদনের জন্য আবেদন করে তাহলে সঠিক তদন্ত করে তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।