মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা চৌরাস্তা সংলগ্ন টিএফসি চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওই রেষ্টুরেন্টে ঘন্টায় ৫ শত টাকায় কক্ষ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। এতে করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যাচ্ছে অতী সহজেই।
সুশিল সমাজের লোকজন বলছেন এসব রেষ্টুরেন্টগুলোকে বন্ধ করা না হলে সামাজিক অবক্ষয়সহ ধ্বংসের দিবে ধাবিত হবে। অন্য দিকে এলাকাবাসী এধরনের রেষ্টুরেন্টগুলো বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। টিএফসি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টটিতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার স্থানীয় দুই সাংবাদিক ওই রেষ্টুরেন্টের প্রবেশ করে তিনটি গোপন কক্ষের সন্ধান পায়।
এর মধ্যে একটি কক্ষের ভিতর এক যুবক ও আরেক যুবতীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতে দেখতে পায়। পরে রেষ্টুরেন্টের আশপাশের দোকানীদের ডেকে যুবক যুবতীকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। কৌশলে প্রথমে যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বোরকা পড়া যুবতী রেষ্টুরেন্টের পিছন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাম পরিচয় জানতে চাইলে ওই যুবতী অজ্ঞান হওয়ার ভান ধরে মাটিতে পরে যায়। লোকজন তাকে জ্ঞান ফেরানোর জন্য পানি আনতে গেলে যুবতীও পালিয়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে রেষ্টুরেন্ট মালিকও পালায়।
মালিকের খোঁজে রেষ্টুন্টের সামনে থাকা চৌধূরী মিডিয়া নামে একটি মোবাইল ফোন বিক্রির দোকানে গিয়ে রেষ্টুরেন্ট মালিক তাজুল ইসলাম (৪০) ও শাহীন (২৮) দের অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতাকে ফোন ধরিয়ে দেন। এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকমারফতে তদ্বির করান। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই যুবতী মধ্যপাড়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি একজন এস, আইকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে রেষ্টুরেন্ট মালিকদেরকে থানায় ডেকে পাঠান। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পর অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা যুবক মিজান অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ করলে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া ইছাপুরা চৌরাস্তা, ইছাপুরা বাজারের আশপাশসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্কুল কলেজগুলোকে কেন্দ্র করে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ছোট বড় চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট। যেগুলোর আড়ালে প্রতিনিয়তই চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। লাগামহীন ভাবে চলা অসামাজিক কার্যকলাপে বিষয়টি জনসাধারণের নজরে আসলেও দৃষ্টি গোচর হয়নি প্রশাসনের। সম্প্রতি মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঢালী আম্বার রিসোর্ট সংলগ্ন একটি রেষ্টুরেন্ট থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ রেস্টুরেন্ট মালিককে থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মুচলেকার মাধ্যমে থানা থেকে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো। যদি এখানে আসামাজিক কার্যকলাপ চলে তাহলে তারা শাস্তি পাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।