সময় বাংলার নিজস্ব প্রতিবেদক মুন্সীগঞ্জ থেকে ফিরে
পপির পর মুন্সীগঞ্জের চর মুক্তারপুরে গাঁজার বাগানের সন্ধান মিলেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর মুক্তারপুরের গ্রাম মসজিদ এলাকায় মাদক নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের ভাই জুম্মন হাওলাদারের গরুর ফার্মের পাশে গাজা বাগানে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ১৯মার্চ রাত ৮টার দিকে ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক এর নেতৃত্বে তার সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযানে অংশ নেয়।
এসময় আব্দুর রহমানের ছেলে রহিম বাদশা (৬০) নুরা দেওয়ানের ছেলে লিটন দেওয়ান (২৮), ইউসুফ মিয়ার ছেলে লিটন (৩৫)কে আটক করে। যেভাবে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ মুন্সীগঞ্জের সদর থানার চরমুক্তারপুরে গাঁজার চাষ করা হয়েছে এমনই সংবাদ আসে ডিবি পুলিশের কাছে। ডিবি পুলিশ এ বিশস্ত গোপন সংবাদকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেয়। যেহেতু এলাকাটি ধলেশ্বরী নদীর ওপারে অবস্থিত এবং এলাকাটি অনেকটা দূরবর্তী এলাকা ফলে সেভাবেই প্রস্তুতি নেয় ডিবির এ অভিযানিক দল। এ অভিযানে সদর থানার ডিবি ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক সুন্দর করে সাজান অভিযানের টিমটি। তিনি এ অভিযানে ৭জন অফিসারকে টিমের অন্তর্ভুক্ত করে এবং যথারীতি অভিযান চালিয়ে গাঁজার বাগান জব্দ করেন এবং গাজার গাছ বস্তায় ভরে নিয়ে আসেন।
ডিবি পুলিশকে গাঁজার সংবাদ দেওয়ার অভিযোগে মারধর: মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশকে এই গাঁজা বাগানের সংবাদ দেওয়ার অভিযোগে গরু ফার্মের মালিক জুম্মন হাওলাদারের বড় ভাই এবং চরমুক্তারপুর মাদক নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শহর আলী, জামাই শাহ আলমসহ দশ বারো জনের একটি দল রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল জলিল দেওয়ানের ছেলে নুরুল হক (৩৮)কে এলোপাথাড়ি লাঠি সোটা দিয়ে আঘাত করে এবং বলতে থাকে তুই এ সংবাদ পুলিশকে দিয়েছিস।
মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় আসা নুরুল হক এ অভিযোগ করে। তিনি জানান, ডিবি পুলিশের সামনেই আমাকে মারধর করা হয়। নুরুল হক আরো বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে ভালো মন্দ আমি কিছুই জানি না। আমার অপরাধ। এ ফার্মের পাশেই আমার বাড়ি। আমি এখন ভীত সন্তোস্ত অবস্থায় রয়েছি।
আমি নিরাপত্তা চাই। ভালোমন্দ না জেনেও ফার্মের পাশে আমার বসবাস বিধায় তারা আমাকে সন্দেহ করছে। আমার ও আমার পরিবারের সাভাবিক জীবনযাত্রায় পুলিশের সহযোগিতা চাই। মাদক নির্মুল কমিটির ভাই বলে কথা একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হলেন মাদক নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। অথচ তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে পেটানোর অভিযোগ। তার ছোট ভাই জুম্মন হাওলাদারের গরুর ফার্মের পাশে কি করে গাজার বাগানে তৈরী হলো এমনই প্রশ্ন এখন গুরপাক খাচ্ছে। উক্ত বাগানে তরতাজা অনেকগুলি গাজার গাছ বেড়ে উঠছিল।
অভিযোগ রয়েছে উক্ত গরুর ফার্মে নিয়মিত গাঁজা সেবন করার আড্ডা বসত। সেখান থেকে ডিবি পুলিশ অনেকগুলি গাঁজার পুড়িয়া এবং গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করে। অনেকের ধারণা অনেকদিন যাবতই গাঁজা গাছ রোপণ করে এখানে সেবন আড্ডা চলছে। ডিবি ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে আব্দুর রহমানের ছেলে রহিম বাদশা (৬০), নুরা দেওয়ানের ছেলে লিটন দেওয়ান (২৮) ও ইউসুফ মিয়ার ছেলে লিটন (৩৫)কে আটক করতে সক্ষম হই। গাঁজা গাছ জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।