করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ জনে। আর নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৫৪ জন।শনাক্তের পর প্রথম এক মাসে সরকারি হিসাবে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৮ জন। আজই প্রথম সর্বোচ্চ ৯৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। আজ শনাক্ত ৫৪ জনের মধ্যে ৩৯ জনই রাজধানীর।
৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল। প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এক মাস পার করল বাংলাদেশ। এর মধ্যে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রথমদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাজধানীকেন্দ্রিক হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে এর পরিধি। পিপিই সংগ্রহ ও বিতরণের পাশাপাশি এর মধ্যে বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও।
দেশজুড়ে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে, তাই বাড়ছে নতুন শনাক্তের সংখ্যাও। চলতি সপ্তাহ থেকে প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।
তবে বুধবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মঙ্গলবারের চেয়ে কম মারা গেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আশঙ্কার কথা, নতুন আক্রান্তদের বেশিভাগই পাওয়া যাচ্ছে ঢাকায়।
বুধবার দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, সারাদেশে ৯৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮১টি পরীক্ষা করে ৫৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯ জনই ঢাকা শহরের। একজন ঢাকার একটি উপজেলার। বাকিরা দেশের বিভিন্ন স্থানের। ৫৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৩ ও নারী ২১ জন। এছাড়া যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হননি।
দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ানো হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার উপকরণ। পুরো দেশে এখন পর্যন্ত ১১২টি আইসিইউর ব্যবস্থা আছে। তা আরও বাড়াতে কাজ চলছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, হাসপাতালে সর্বমোট আইসিইউ শয্যা আছে ১১২টি। ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনকে আমাদের আইসোলেশনে নিতে হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১১ জনকে আইশোলেশনে নেয়া হয়েছে। আইসোলেশনের শয্যা সংখ্যা ঢাকা মহানগরীতে ১৫৫০টি এবং ঢাকা শহরের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৪৩টি। এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদফতরকে হাসপাতালগুলোতে সেবা বাড়াতে সহযোগিতা করছে বলে জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ১০ হাজার ৮৭১ জন।
স্পেনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭৫ জন এবং মারা গেছেন ১৩ হাজার ৩৪১ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৪৭ জন এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫২৩ জন।
বুধবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।