আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগেঞ্জর দক্ষিণ যোগনীঘাট জামে মসজিদের সমাজের ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়াডের বাসিন্দা। এই সমাজে ১১৮টি পরিবার নিয়ে ঘঠিত। আর এই ছোট সমাজটি সব সময়ের জন্যই অবহেলিত ছিল। এই সমাজের সাধরণ জনগন দিন এনে দিন খায় এবং আমাদের এই সমাজে নেই কোন উচ্চ শিক্ষিত লোক। নেই কোন বিত্ত্ববান, যে সহায্য-সহযোগিতা করে বড় দুর্যোগের সময়। বুধবার (৮এপ্রিল) এলাকা ঘূরে দেখা যায় সমাজের অনেক নারী পুরুষ রাস্তায় দা্িঁড়য়ে সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছে।
সাহায্য না পাওয়া একাধিক মহিলা অভিযোগ করে বলেনম এই সমাজের পরিবার গুলো বড় অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে। এখানে হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস করে আসছে সবসময়। এখানে সরকারী ত্রাণ এলে দায়িত্বরত কমিশনাররা বলে তোমারা মহিলা কমিশনার এর কাছে যাও আর মহিলা কমিশনার এর কাছে গেলে বলে তোমদের ত্রাণ পুরুষ কমিশনাররে কাছে দেয়া হয়েছে তোমরা তার কাছে যাও। তাই বিগত দিনে এই সমাজ বাসি এই হয়রানির শিকার হয়ে আর কঠিন যাতনা ভোগ করে আসছে। কিন্তু তারাআর মুখ না খুলে পারল না, এই পরিবার গুলো সরকার লকডাউল ঘোষণা করার পর ও কেন রাস্তায় দাড়িয়ে? কিছু সাহায্য ত্রাণের অপেক্ষায়।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মহাদয়ের নিকট তাদের অনুরোধ দক্ষিণ যোগনীঘাট জামে মসজিদ এর বাসিন্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন। তার সাথে আরো একটা অনুরোধ জানিয়েছেন যাদের মাধ্যমে এই দক্ষিণ যোগনীঘাট মহল্লার ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে এ সমাজ প্রধান ও মুরব্বিদের সাথে যেন যোগাযোগ করে ত্রাণ বিতরণ করেন। আর দেশ-বিদেশের বিত্তবান ভাইয়েদের নিকট অনুরোধ করছেন সাহায্যের জন্য। দক্ষিণ যোগনীঘাট জামে মসজিদ এর সমাজ বাসিদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধে সমাজ প্রধান রহম আলী গাজী ও শাহজালাল মোল্লা এবং দক্ষিণ যোগনীঘাট জামে মসজিদ এর সভাপতি মোঃ মাসুদ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মোল্লা জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ড কমিশনার শহিদুল ইসলাম ইতিমধ্যে তিনি আমেরিকা পাড়ি জমিয়েছেন। ফলে তার কাছ থেকে কোন ত্রান পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মহিলা কমিশনার মোর্শেদা ইসলামের সেল ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, মেয়রের সাথে তার সম্পর্ক ভালো না। অপরদিকে তার কাছে তেমন কোন সাহায্য আসছে না। মেয়রের পক্ষ থেকে যে সাহায্য পাঠানো হয় তা তাদের পছন্দ অনুযায়ী লোকদেরকেই দেয়া হয়। যাদের সাহায্যের প্রয়োজন তারা পাচ্ছেনা। অপরদিকে এম এড. মৃনালকান্তি দাসের সাথে তিনি যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সময় হলে তিনি ঐ এলাকায় ত্রান দিবেন।