১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মোসলেম উদ্দিন তেহরান ও জেদ্দা দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন। তখন দেশে তিনি দুই-একবার আসেন বলেও জানা গেছে। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রথমে থাইল্যান্ড, পরে পাকিস্তানে চলে যান। এরপর জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। কয়েক বছর পর যান ভারতে। সেখানে উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এদিকে রোববার (১৯ এপ্রিল) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র রাইজিংবিডিকে জানায়, ২০১৬ সালে মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এরপর আবদুল মাজেদ এবং মোসলেম উদ্দিনের ভারতে থাকার মোটামুটি নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়। তখন এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠিও দেওয়া হয়। জাতির পিতার খুনিদের মধ্যে ছয়জন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তারা হলে- মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। ২০০৯ সালে পলাতক এই ৬ জনের বিষয়ে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে। এর মধ্যে আবদুল মাজেদের ফাঁসি ১২ এপ্রিল রাতে কার্যকর করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল গণমাধ্যমকে মাজেদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এদিকে, মোসলেম উদ্দিন প্রসঙ্গে রোববার (১৯ এপ্রিল) রাতে মুঠোফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে নির্দিষ্ট করে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমিও বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাচ্ছি মোসলেম উদ্দিনের ট্রেস করা হয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।