সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন হতদরিদ্রের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাউল দিয়ে ঐ চাউল জোর করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারপিটের শিকার হয়েছে এক হতদরিদ্রের। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে কাটশাগরা গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় লতব্দী ইউনিয়নে কাটশাগরা গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে হতদরিদ্র হাবিবুর রহমান (৬০) কে গত ১২ এপ্রিল লতব্দী ইউনিয়নে ডেকে নিয়ে হাতের টিপ সহি ও ছবি তোলে ত্রান সামগ্রী দিয়ে পরে বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয় ৯ নং ইউপি সদস্য মিয়ার হোসেন। এবিষয়ে এলাকায় জানাজানি হলে ২০ এপ্রিল সোমবার রাত আনুমানিক ৮ দিকে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বাড়ি এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মেরে রক্তাক্ত জখম করে। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন এই করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আমরা কর্মহীন হয়ে অসহায় ভাবে খেয়ে না খেয়ে আছি একদিন মিয়ার হোসেন আমাকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব আমার টিপসহি ও ছবি তোলে কিছু ত্রাণ দেন আমি ত্রাণ নিয়ে বাড়ি চলে আসেলে মিয়ার হোসেন মেম্বার ঐ ত্রাণ আমার বাড়ি থেকে ধমক দিয়ে নিয়ে যায় আমি এই ব্যাপারে এলাকার সবাই কে জানাইলে মেম্বার এ কথা শুনে রেগে আমার বাড়ি এসে আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চড় থাপ্পড় ও কিলঘুশি মেরে শাসিয়ে চলে যায় । এবিষয়ে লতব্দী ইউনিয়ন ৯ নং ওই ইউপি সদস্য মিয়ার হোসেন বলেন এই ত্রাণের নাম ভুল হওয়ায় আমি নিয়ে যাই আর যার নামে এই ত্রাণ তাকে দিয়ে দেই লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোহরাব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি এবিষয়ে শুনেছি এটা খুবই খারাপ কাজ করেছে ইউপি সদস্য আমি এর সঠিক তদন্ত করে সমাধান করে দেবো।