আরিফ হোসেন হারিছ সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) থেকেঃ
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে সরকারের ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র ১০ টাকা কেজি দরের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে লতব্দী ইউনিয়ন ১/২/ও ৩ নং ওয়ার্ডের ডিলার লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোহরাব হোসেনের (ডানহাত খ্যাত) স্নেহ ভাজন বাদল মন্ডলের বিরুদ্ধে ।
মন্ডল এন্টার প্রাইজের ডিলার বাদল মন্ডল এর ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র ১০ টাকা কেজি দরের ৩২২ বস্তা চাউল থেকে ১৪ বস্তা চাল গোপনে রাতের আধারে গরীবের সেই চাল বিক্রি করে দেন নয়াগাঁও নতুন চর ও পুর্ব রামকৃষ্ণদি এলাকার কয়েক জনের কাছে । ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয় । চাল ক্রেতা নয়াগাঁও গ্রামের ইয়ানুছ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫) জানান,আমি ৪ বস্তা ৯০০ টাকা করে ৩৬০০ দিয়ে কিনেছি । নয়াগাঁও মাদবরের হাটের দিনমজুর (কুলি) পুর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের আক্তার হোসেন বলেন বাদল আমাকে দিয়ে পুর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের আসাদ মাদবরের বাড়িতে ৪ বস্তা সহ আরো ২ বাড়িতে বস্তা পাঠিয়েছে শুনছি ৯০০ টাকা করে বিক্রি করেছে আমি কুলি আমাকে টাকা দিছে আমি মাথায় করে দিয়া আইছি বাদল মন্ডলের ব্যবসায়ী পার্টনার নতুন চর গ্রামের হারুন-অর-রশিদ জানান আমি ওর সাথে রাস্তার কাজের জন্য টাকা দিয়েছি কিন্তু ১০ টাকা কেজি চাউল আনতে টাকা শর্ট পড়লে মাঝে মাঝে আমার কাছ থেকে দুইবার ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু আমি ওর ১০ টাকা কেজি চাউলের ব্যবসার সাথে পাটনার না আর কিভাবে কার কাছে বিক্রি করে তাও আমি জানি না মাঝে মাঝে আমি ওর কাছে গিয়ে বসি মন্ডল এন্টারপ্রাইজের ডিলার বাদল মন্ডলের সাথে ফোনে (০১৭২৫২১৬৭৯৪) যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক শুনে বললেন ও আসুক আসলে দিচ্ছি আপনি লাইনে থাকেন। অনেক ক্ষন অপেক্ষা কররার পরে লাইন কেটে দেয় সে। পরে অনেক বার যোগাযেযাগ করা হলে সে আর সেল ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে লতব্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, বাদল মন্ডল একজন হিন্দু মানুষ। সে এ বছর চাল আনতে চায়নি। আমি জোর করে তাকে দিয়ে আনিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে যাদের কাছে চাল বিক্রি করেছে তাদের নাম বলা হয় তখন তিনি বলেন, যারা ক্রয় করেছে তারা আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করুক তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তারা অভিযোগ দিলে আমি আছি আমার উপরের কর্মকর্তা রয়েছে। সকলে মিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশফিকুন নাহার জানান,অভিযোগ তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।