স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট । মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ মুন্সীগঞ্জ থেকে ।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নে চাল চুরির অভিযোগ করায় দুই জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মোমেনা খাতুন ও রুবিনা বেগমকে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানাগেছে, হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টাকা কেজি মূল্যের চাল দির্ঘদিন ধরে বেতকা ইউপি সদস্য হাশেম বেপারী ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার সোবহান বাগজার পরস্পর যোগসাজগে কার্ডধারীদের না দিয়ে বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে একাধিক মহলের অভিযোগ পাওয়া গেছে । গেল সোবহান বাগজা একাই নিজের নামে প্রভাব খাটিয়ে বেতকা ইউনিয়নের ১০টাকা কেজি মূল্যের হতদরিদ্রের চাল বিক্রি ও সরকারের ওএমএসএর ডিলার দুইটি লাইসেন্স নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভুগী অভিযোগ কারী ৭নং ওর্য়াডের সোবহান শেখের ছেলে মুরাদ শেখ জানান, ২০১৬ সাল থেকে হতদরিদ্রের তালিকায় (২৬১নম্বার) আমার বাবার নাম থাকলেও আমরা এখন পর্যন্ত কোন চাল পাইনি। তাছাড়া তিনি আরো জানান,৭নং ওর্য়াডের শফি আলমের স্ত্রী শহিদা বেগম.ইসাক মুন্সীর ছেলে নাছির মুন্সী,ওয়াহেদ মাতবর,মিলন শেখ, সাইফুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি চাল পাচ্ছেনা। মরন ব্যাধি করোনাভাইরাসের সময় চাল না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে আমি উপজেলার নির্বাহী নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে খাদ্যবান্ধব ডিলার সোবহান বাগজা জানান,৭নং ওয়ার্ডে হাসেম বেপারী তার ওয়ার্ডের ব্যাক্তির চাল নিজে বসে বন্টন করে। আমি এর বিষয়ে কিছুই জানিনা। ইউপি সদস্য হাসেম বেপারী জানান,আমি কোন চাল চুরি করে বিক্রি করিনি। তবে কার্ডধারী কিছু ব্যাক্তি মারা যাওয়ায় তাদের কার্ডের চাল অন্য ব্যাক্তিদের দিয়েছি। বেতকা ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শিকদার জানান,খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য হাশেম বেপারী শুক্রবার ৭জন লোকজন নিয়ে অভিযোগকারী মুরাদ শেখের বাড়ীতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী মোমেনা খাতুন ও আওলাদ হোসেনের স্ত্রী রুবিনা বেগমকে মারধর করে আহত করে।  এই বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকতা শ্যামল সরকার জানান, ইউপি সদস্য হাশেম ও ডিলার সোবহান বগজার নামে আরও অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে তাদের অনিয়ম ধরা পড়ায় এক ব্যাক্তিকে ৩০ কেজি চাল কিনে দিয়েছে তারা। তবে নতুন করে তাদের অভিযোগ করায় বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।