আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের গোপালগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টায় নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদি হয়ে এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলের নামে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১, তারিখ-০৭.০৬.২০২০ ইং। ওই মামলায় কোটালীপাড়া থানার এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসান ও মোঃ রেজাউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত মঙ্গলবার (০২ জুন) বিকেলে কোটালীপাড়ার রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে কৃষক নিখিলসহ চারজন তাস খেলছিল। ওই সময় কোটালীপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান একজন ভ্যানচালক ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলকে নিয়ে সেখানে যায় এবং আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করে।
তাস খেলতে থাকা ওই চার ব্যক্তি যখন দেখতে পায় তাদের খেলা মোবাইলে ধারণ করছে, তখন তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্য তিন জন পালিয়ে গেলেও নিখিলকে শামীম হাসান ধরে মারপিট করতে থাকে এবং হাঁটু দিয়ে পিঠের মেরুদণ্ডে আঘাত করে। এতে নিখিলের মেরুদণ্ড তিন খণ্ড হয়ে যায়।
আহতাবস্থায় স্বজনেরা তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত হয়।