বুধবার (২৪ জুন) ভোরে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমাম হোসেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে। তবে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হলেও তাদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানায়, নিহত ইমাম হোসেন সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকপাচারে জড়িত থাকার ব্যাপারে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বুধবার ভোর রাতে ইয়াবার বড় একটি চালান গাড়ি যোগে পাচারের খবরে পুলিশের একটি দল শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকায় পুলিশের একটি দল অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। এসময় কক্সবাজারমুখি একটি অটোরিকশা আসতে দেখে পুলিশের সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এতে গাড়িটি থেকে মাদক পাচারকারীরা অতর্কিত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এসময় গোলাগুলির এক পর্যায়ে অটোরিকশা থেকে নেমে ৫ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে একজন আহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় পুলিশের ৩ জন সদস্যও আহত হয়েছে।
পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সকালে সেখানে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশিয় তৈরি বন্দুক ও ৩টি গুলি। ঘটনার খবর পেয়ে উত্তেজিত স্থানীয় জনতা ইয়াবা বহনকারী অটোরিকশাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অটোরিকশাটি পুড়ে গেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।