সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছর পর অজ্ঞাত দুই পুরুষের সংশ্লিষ্টতা জানিয়ে তদন্তের সবশেষ অগ্রগতির রিপোর্ট দিয়েছে র্যাব। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামতে তাদের ডিএনএ পাওয়া গেছে। তবে এই দু’জনের পরিচয় কবে মিলবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
চলতি বছরের ১০ ফেরব্রুয়ারি ছিল সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার ৭১তম তারিখ। সেদিনও তদন্তকারী সংস্থা র্যাব বিচারিক আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারে নি। পরে ২৩ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্টে তদন্তের সবশেষ অগ্রগতি জানান র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা। সন্তুষ্ট না হওয়ায় ৪ঠা মার্চ আবার অগ্রগতি জানানোর তারিখ ধার্য করেন আদালত। অবশেষে সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় র্যাব। হত্যায় সংশ্লিষ্ট দুই অজ্ঞাত পুরুষকে শনাক্ত করা গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তাদের ডিএনএ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরো বলা হয়, সাগরকে বাঁধার জন্য ব্যবহৃত চাদর ও রুনীর টি শার্ট থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষায় যে ডিএনএ পাওয়া গেছে তা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের পরিচয় কমে জানা যাবে, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এছাড়া মৃত্যুর আগে রুনীর সঙ্গে বন্ধু তানভীর বার বার যোগাযোগ করলেও, হত্যাকাণ্ডের পর তার খোঁজ না নেয়ার বিষয়টিকে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের শোবার ঘরে রাতে খুন হন সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম গত আট বছরে ৫ বার হাত বদল হয়েছে। গ্রেফতার ৮ জনের কেউই হত্যার দায় স্বীকার করেনি। এ ছাড়া এ পর্যন্ত মোট ১শ’৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।