রুবেল ইসলাম তাহমিদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার |
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের পূর্ব চান্দেরচর গ্রামে আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উভয় পক্ষের ৯ জন টেটাবিদ্ধ ও একজন সাংবাদিক এবং একজন জনপ্রতিনিধিসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেক চান সজীবও আহত হন।
এ সময় ৪টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে দৈনিক মানবকণ্ঠের সিরাজদিখান প্রতিনিধি সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সিরাজদিখান থানার পুলিশের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পুর্ব চান্দেরচর গ্রামের কামিজুদ্দিন কামু (৬০) ও একই এলাকার কালাইচান মাদব্বর (৫৫) সর্মথকদের মধ্যে ফসলি জমির মাটিকাটার টাকার ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আজ সকাল ছয়টায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গেল ২১ জুন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, ওই সংঘর্ষে ৪ জন টেটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছিল।
বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচান সজীব সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। বর্তমান তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বেশ কয়েকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে বলে আমি শুনেছি।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ফসলি জমির মাটি কাটার টাকা ভাগবাটোয়ারা আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।