এদিকে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কিট নিয়েও। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যন্ত বিপদজনক এ শনাক্তকরণ পরীক্ষা এখনই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া যাবে না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বহুগুণ বাড়বে।
ছদ্ম নাম টিনা। একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেন। অফিসে আনাগোনা বিদেশি ও সদ্য বিদেশ ফেরতদের। জ্বর কাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে আইইডিসিআরে এসে ফিরে যাচ্ছেন পরীক্ষা ছাড়াই। প্রতিদিনই এমন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই। প্রশ্ন সবার যাবেন কোথায়?
আইইডিসিআরে আসা একজন বলেন, উপসর্গ থাকায় আমি কুর্মিটোলা গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে এখানে এসেছি।
আইইডিসিআর বলছে, এরই মধ্যে মুগদা, ডিএমসি, কুর্মিটোলা ও মহানগর হাসপাতালকে সন্দেহভাজন রোগী ভর্তির নির্দেশনা দেয়া আছে। আর এখন থেকে ফোন কলে উপসর্গ শুনে পরে নমুনা সংগ্রহ করবে তাদের টিম। এছাড়া আসছে সপ্তাহেই ঢাকা চট্টগ্রামসহ আরও চারটি স্থানে করা হবে পরীক্ষা।
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যাদের পরীক্ষা হওয়া দরকার তাদের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় আমরা এখন পরীক্ষা কম করছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে দেশের তিনটি জায়গায় এ সুবিধা যুক্ত করার কথা ভাবছি। ঢাকা মেডিকেলেও আমরা করতে চাচ্ছি।
তবে শঙ্কা কিট সঙ্কট নিয়ে। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হলেও এখনই তা বেসরকারি খাতে দেয়া ঠিক হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ইউজিসির অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, পরীক্ষা ঢালাওভাবে করলে ল্যাবরেটরি থেকে ছড়াতে পারে। একটা জায়গা থেকে যেহেতু ফলোআপ করা হচ্ছে তাই এক জায়গায় থাকলেই ভালো।
চলমান বাস্তবতায় বিশ্ব জুড়েই কিট সঙ্কট, তার ওপর বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিছুটা জটিলতা হলেও তা সামলে ওঠার কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিট সরবরাহ আমরা বাড়াতে পারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে তারা অর্ডার দিয়েছে এবং দুই তিন দিনের মধ্যেই কিট আসবে। পৃথিবীর সব দেশেই কিট সঙ্কট রয়েছে।
হটলাইন বন্ধ পেলে আইইডিসিয়ারের সঙ্গে ফেসবুক ও ইমেইলেও যোগাযোগ করা যাবে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।