মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ মাওয়া থেকে সিডিউলের আগেই গত কাল মঙ্গলবার রাতে শেষ হলো সংশোধিত পদ্মা সেতুর সর্বশেষ পিয়ারের কাজ ।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই চলছে ২৪ঘন্টা সেতুর কাজ। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সেতুর ৪২তম পিয়ারের কাজ শেষ । সেতুর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল এই প্রমত্তা পদ্মা নদীতে পিয়ার তৈরি করা। ৪২ টি পিয়ারের মধ্যে সর্বশেষ ২৬ নম্বর পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে। মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণনে দেশের সর্ব প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাষাপাশি বন্ধরয়েছে দোকান পাট-হোটেল রেস্তুরা -ব্যবসা বাণিজ্য, ভাইরাসের এ প্রকোপ ঠেকাতে সরকারের দেয়া প্রায় ২ সপ্তাহের ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পদ্মা পাড়ের দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। তবে থেমে নেই দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো সরকারের চেলেঞ্জের পদ্মাসেতুর কাজ ।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন , “পদ্মাা সেতুর সর্বশেষ ৪২তম পিয়ার, পি-২৬, এর কংক্রিটিং এর কাজ গত কাল দুপুর ১২টায় শুরু হয়েছে। কংক্রিটিং এর কাজ শেষ হতে ১০ ঘন্টার মতো সময় লেগেছে । অর্থাত রাত ১০ টার দিকে শেষ হয়ে যায়সেতুর সব গুলো পিয়ার।” তবে , মূল সেতুর ৪২ টি পিয়ার ছাড়াও মাওয়াপ্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৪টি পিয়ার ও জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৭ টি পিয়ার আছে। সব মিলিয়ে ১৩৩ টি পিয়ারের কাজ শেষ হলো । সংশোধিত প্রোগ্রাম অনুযায়ী সেতুর শেষ পিয়ার করার লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল।” তিনি বলেন, এসকল পিয়ার সম্পূর্ণ করতে বেশ কিছু নতুন টেকনোলোজি ব্যবহৃত হয়েছে যা আগে কখনো এখানে তা হয়নি। পদ্মা সেতু একটি মজবুত সেতু হবে এবং কমপক্ষে ১০০ বছর ষ্টংথাকার ব্যপার মাথায় রেখে এ কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের ।” এদিকে, গেল শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ২৭তম স্প্যান বসানো হয়। ফলে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৪শ৫০ মিটার। বর্তমানে ৩৯টি স্প্যান আছে প্রকল্প এলাকায়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। এদিকে