মাওয়ায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মাওয়া।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উপচেপড়া ভিড় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার পর্যটক।
যাদের পদচারণায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার। পদ্মা নদীর তীরের সব কয়েকটি পয়েন্ট। তবে কেউ মানছেন না করোনা স্বাস্থ্যবিধি। আর এসব ব্যাপারে তদারিকও নেই প্রশাসনের। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দেশের দূর-দূরান্তের সব শ্রেনীর মানুষের পথ যেন এক হয়েছে মাওয়ায়।
ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ছুটে এসেছেন বিশ্বের দীর্ঘ অন্নতম প্রকল্প পদ্মাসেতুর কাছে মাত্র এক নজর বাস্তব রুপে দেখার আসায়। পদ্মার নীল জলরাশি, ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে।
আর এই ঢেউয়ে আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা। আবার অনেকে মেতেছেন স্পীটবোট ট্রয়লার নিয়ে নদীর বোকে ভ্রমণে। মেতেছে নাচ গান উল্লাশে,
ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক বলেনে এখানকার পরিবেশটা বেশ ভালো। করোনার কারনে এক বছর গৃহবন্দি থাকার পর এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
মাওয়া প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে পর্যটকের চাপ। কিন্তু কেউ মানছেন না সরকার নির্দেশিত করোনার স্বাস্থ্যবিধি। আবার পদ্মা পাড়ে বালি মাটিতে যততত্র পড়ে আছে ব্যবহৃত মাস্ক। স্বল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে , এনিয়ে করোনার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত বলে জানালেন স্থানিয় চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খান সহ জেলার বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা।
লৌহজং থানার ওসি মোনাম্মদ আলমগীর হোসাইন বলেন,আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশাসন নেই। যে কয়েকজন আছে তাদের সেফটি দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’ ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের চেয়েও ২০২১ জানুয়ারিতে পর্যটকের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।