নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
করোনার কারণে কোরবানির জন্য লালন করা ৩ লাখ গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় নাটোরের প্রায় ৯ হাজার খামারি। প্রতিবছর রোজার ঈদের পরপরই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু কিনলেও এবার এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। এতে লোকসান আতঙ্কে খামারিরা।
জাত ভেদে গরু প্রতি আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আর বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকায়। এছাড়া মহিষে দেড় লাখ টাকা খরচ হয় আর বিক্রি হয় ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকায়। তবে এবার চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো। কোরবানির ঈদ এগিয়ে এলেও করোনার কারণে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা গরু ও মহিষ কেনা শুরু করেনি। ফলে শুধু কাঙ্ক্ষিত দাম নয় বরং লোকসানের শঙ্কা খামারিদের। তারা বলেন, প্রায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। চিন্তায় আছি। কেউ যোগাযোগ করেনি। গরু ও মহিষের খামারিদের মত একই অবস্থা প্রায় ৪ হাজার ছাগল ও ভেড়ার খামারিদেরও। হাটে তুললেও ছাগলের তিন ভাগের এক ভাগ দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ১৪/১৫ হাজার টাকার ছাগল মাত্র ৪ হাজার টাকা দাম উঠেছে। সঠিক মূল্য না পেলে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হব। তবে কোরবানির পশু বাজারজাতের জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে খামারিদের সমস্যা সমাধানের চেস্টা করছেন বলে জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা। আর জেলার বাইরে গবাদি পশু পাঠানোতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। কোরবানির জন্য এবার ৭৯ হাজার গরু, ১২ হাজার মহিষ, ১ লাখ ৬৯ হাজার ছাগল ও সাড়ে ৩৪ হাজার ভেড়া পালন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা।