কিশোরগঞ্জে জবাই করা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। তবে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে জেলার সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি বাঁশঝাড় থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা তাকে গলা কেটে মৃত ভেবে সেখানে ফেলে রাখা হয়। এলাকাবাসী জানায়, উত্তর লতিবাবাদ লক্ষ্মীপুর গ্রামের জনৈক মালেক ভুঁইয়ার বাড়ির পেছনে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে গলা কাটা অবস্থায় মাটিতে বসে থাকা অবস্থায় এক নারীকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় ওই নারী হাত ইশারায় বাঁচার জন্য আকুতি করছিল। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তাকে একটি খাতা ও কলম এনে দিলে সেখানে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করেন ওই নারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তাকে গলা কাটার পর মৃত ভেবে জঙ্গলে ফেলে যায় বলে ধারণা করছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, মেয়েটিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে পিবিআই। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।