শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকালে কেন্দুরবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়দেব পোদ্দার ওই গ্রামের স্বপন পোদ্দারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত জয়দেব পোদ্দারের স্ত্রীকে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনের সড়ক পুনর্নির্মাণের কাজের শ্রমিকের একটি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে কয়েকদিন আগে জাতীয় পরিচয়পত্র নেন প্রতিবেশী খোকন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। শুক্রবার বিকালে খোকনের স্ত্রী পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিতে পুনরায় জয়দেব পোদ্দারের স্ত্রীর কাছে আসেন। ছবি দিলে তো নিজেই ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে কার্ড করতে পারবেন বলে দাবী করেন জয়দেবের স্ত্রী। এনিয়ে তাদের দুইজনের মধ্যে বাকবির্তক শুরু হয়। ঝগড়ার শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন জয়দেব পোদ্দার ও খোকনের ছেলে নাপিত যুবরাজ চন্দ্র দাস। বাকবির্তকের মধ্যে যুবরাজ উত্তেজিত হয়ে জয়দেব পোদ্দারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে যুবরাজ একটি লাঠি নিয়ে জয়দেবের মাথায় আঘাত করলে অচেতন হয়ে পড়ে জয় দেব। পরে বাড়ীর লোকজন জয়দেবকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত নরসুন্দর যুবরাজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।