বুধবার (৮ জুলাই) ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাটাল টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। উপপরিদর্শক (এসআই) মুতিউজ্জামান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, বুধবার ভোর ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী একটি খালি পিকআপ তল্লাশির জন্য থামায় কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক মুতিউজ্জামান। এ সময় পিকআপের ড্রাইভার কাসেম পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তর্কে জরায়। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে পিকআপ তল্লাশি করে পিকআপের বনাটের নিচে ইঞ্জিনের দুই পার্শ্বে লোকানো গাঁজার দুটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় পিক-আপের ড্রাইভার কাসেমসহ আরো দুই আরোহীকে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্তবাগ এলাকার আ. আলিমের ছেলে ড্রাইভার কাসেম, একই জেলার মধ্যেপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে রাকিব এবং পশ্চিম মেড্ডার সোনার আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বলেন আমাদের নিয়মিত চেকিংয়ের সময় একটি খালি পিক-আপকে সন্দেহ হলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুতিউজ্জামান গাড়ি থামানোর পর ড্রাইভার কাসেম তার সাথে তর্কে জড়ায় এবং তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় গাড়িটি তল্লাশি করে বনাটের নিচে ইঞ্জিনের দুই পার্শ্ব থেকে দুই পোটলায় ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।