টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
আবারও বেড়েছে টাঙ্গাইলের যমুনা, ধলেশ্বরী আর ঝিনাই নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়ে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী ৬৭ আর ঝিনাই ১৯ সে.মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। জেলার ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, কালিহাতী ও নাগরপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তীব্র স্রোতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পানিবন্দি এসব এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চলাচলে চরম সমস্যা পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বন্যায় তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির আউস ধান, পাট, তিল আর সবজি। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ^রীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ সেন্টিমিটার আর ঝিনাই ১৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন এবং ভুঞাপুর পৌরসভার একাংশ ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩৭টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২১ হাজার ১৭৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর বেশির ভাগই যমুনার চরাঞ্চলে। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ সেন্টিমিটার আর ঝিনাই ১৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।