বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মোহাম্মাদপুর গ্রামের বৃদ্ধবা শরিফা বেওয়া স্থানীয় উপজেলা এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে বুঝে পালেন তার স্বামীর দখলভূক্ত জমি।
শরিফা মোহম্মাদপুর গ্রামের মৃত আবদুস ছামাদ মেম্বরের স্ত্রী। জমি বুঝে পেয়ে অসহায় ওই পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিষ্পত্তি মিলেছে। জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মোহম্মাদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদ মেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গ্রামে হাট বসাতে কিছু জমি হাটের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। বর্তমানে মোহম্মাদপুর মৌজার হাটটি বেশ জমাজমির চাহিদা বেড়েছে। এতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের আইনুল হকের ছেলে শিমুল, মৃত নুবার আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগীরা ওই বাজারের বাইরে বৃদ্ধবার ১৭৮৩ দাগ জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে বাজারে লোকজন হাটের মধ্যে সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগও করে। স্থানীয়দের অসুবিধা ও সরকারী জায়গা দখল করায় নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মন্ডল বিষয়টি আমলে নিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবরে তা বন্ধের আদেশ করলেও শিমুল ও তার সহযোগীরা তা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ করতে থাকে। পরে এলাকার লোকসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম উপজেলা সহকারী কমিশনারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলায় তৎকালীন উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন তদন্ত শেষে নিজে এসে তা বন্ধ করেন। পরবর্তীতে অগচরে সরকারী আদেশ ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ শেষ করে তারা। এদিকে জমির মুল মালিক দাবিদার মৃত আব্দুস ছামাদের স্ত্রী দখলদারদের হাত থেকে জমি উদ্ধারে জমির মালিকানা পেতে আইনী আশ্রয় নেয়। তার দাবিতে একাধিকবার দেন দরবার বসে জমি বৃদ্ধবা শরিফার অনুকূলে আসে। জমি আবারো হাতছাড়া হবার ভয়ে সরকারী জমি ১৭৮৫ দাগের দাবি করে দখলদার শিমুল উপজেলা ভূমি কমিশনারের কাছে আবেদন করে তার পক্ষে রায় নিতে চাইলে। এতে হিতে বিপরীত ঘটে। বিষয়টি সরকারী জমি জেনে উপজেলা সহকারী কমিশনার বুধবার (৫ আগষ্ট) ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগীতায় জমির জরিপ কাজ শেষে জমিটি বৃদ্ধবার ১৭৮৩ দাগে পড়ে। অবশেষে সকলের উপস্থিতিতে জমির মালিক বৃদ্ধবা শরিফা বেওয়ার কাছে ঘরসহ হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত করে। পরে দখলদারদের ওই স্থানে কোন জমি না থাকায় সরকারী জমি হিসেবে জমি দখল নেয়াটা ও আগের নির্দেশনা না মানা আইনত অপরাধ স্বীকার করে শিমুল ও আব্দুর রশিদ ঘর খালি করে স্থান ত্যাগ করে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ বিষয় তদন্ত শেষে জমিতে অবৈধ ঘর নির্মানের সত্যতা মিলেছে। জমির দখলদাররা কোনই কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। প্রাথমিক ভাবে ওই জায়গা বৃদ্ধবা শরিফা বেওয়াকে দখল দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া হাটের সরকারী ও তার (বৃদ্ধবার) জমির সীমানা নির্ধারনের আবেদন করতে বলা হয়েছে। সীমানা নির্ধারন পর জমির মুল হিসাব মিলবে বলে জানান তিনি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।