মাজিদ আল মামুন মেহেরপুর প্রতিনিধি
গত ২ দিনেও মেহেরপুরে সূর্যের দেখা মেলেনি। হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের জনজীবন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি), ভোর থেকে শুরু হয়ে ৪ জানুয়ারি বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গত ২ দিনই ছিল ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত। বইছে মিলমিলে হিমেল বাতাসও। ভোর ও সন্ধার পরপরই বৃষ্টির মতো টপটপ করে ঝরতে দেখা গেছে। কনকনে শীতের কারণে বিকেলের পরপরই ফাঁকা হয়ে যায় জেলার বিভিন্ন হাট বাজার।
সারাদিনেও জনগণের উপস্থিতি তেমন একটা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে বিভিন্ন চায়ের দোকানগুলো জমজমাট ছিল। যারা রাতে চা বানায় তাদের অধিকাংশ চায়ের চুলা সারাদিনই জ্বলে ছিল। গত কয়েকদিন পূর্বে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের পরিমাণ কম থাকলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে আবার শুরু হয় হিমেল বাতাস ও কনকনে শীত, সাথে ঘন কুয়াশার কারণে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-মুজিবনগর, গাংনী-হাটবোয়ালিয়া, গাংনী-কাথুলী, বামুন্দী-কাজীপুর, বামুন্দী-তেঁতুলবাড়ীয়া, বারাদী-ধানখোলা, জোড়পুকুরিয়া-ষোলটাকা সড়কেসহ জেলার প্রায় সকল আঞ্চলিক যানবাহন চলাচল দেখা যায় খুব ধীরগতিতে। বিভিন্ন যানবাহনের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি সূর্যের দেখা না মেলায় গরম কাপড় শরীরের জড়িয়ে রেখেছেন অনেকেই। মাঠে খেতে খামারে কাজের লোকেদের কোথাও কোথাও কাজ বাদ দিয়ে জড়ো হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। হিমেল বাতাস ও শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা। পেটের দায়ে সকাল সকাল কাজে বের হলেও হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতের কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন অনেক শ্রমিক। আবার অনেকেই কাজে না গিয়ে বাসায় বসে কিংবা শুয়ে শরীর গরম করেছেন লেপতোশকের নিচে। তবে যে সব শ্রমিক দিন আনে দিন খায় সেসব সেসব শ্রমিকেরা শীত উপেক্ষা করে বাধ্য হয়েছেন কাজে নামতে। এদিকে গত কয়েকদিনের অব্যাহত কুয়াশা এবং শীতের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান ও ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে গরম কাপড় বিক্রি। বেড়েছে ঠান্ডা ও সর্দি জনিত রোগ। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গাংনী উপজেলা শহরের রবিউল ইসলাম মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক পুষ্টিবিদ তরিকুল ইসলাম জানান, যেহেতু ঠান্ডা এবং শীত অব্যাহত থাকায় সর্দি ও ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন। কোনভাবেই যেন সন্ধার পর ও ভোরের দিকে শিশুরা ঘরের বাইরে না যায়। একই সাথে সকলকে গরম কাপড় পরিধানের পরামর্শও দেন তিনি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।