আরিফ হোসেন হারিছ, সিরাজদিখান।
অধিকাংশ মানুষের পছন্দ প্রাকৃতিক পরিবেশ, কখনও রিসোর্ট এবং পার্ক সমূহ। মানুষের নির্মল আনন্দ ও প্রাকৃতিক পরিবেশে বাহারী ফুলের রঙে মনকে রাঙিয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট ও পার্ক। ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে নিরিবিলি আনন্দ উপভোগ করতে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন অবস্থিত কোলা ভিলেজ পার্কটিকে বেছে নিচ্ছে।কর্মব্যস্ত জীবনে একমাত্র ছুটির দিনকে রাঙ্গাতে অথবা সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করতে প্রত্যেকে পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধু বান্ধবদের সাথে একান্তে আনন্দ মুখর সময় কাটাতে চায়।
মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাতে দর্শনীয় স্থান থাকলেও সিরাজদিখানের এ পার্কটিতে প্রতিদিনি ভিড় জমাচ্ছে শত শত মানুষ। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে এখানে। ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে প্রথমে এক একর জমির উপর গড়ে তোলা হয় এ পার্কটি। গ্রামীণ পরিবেশের মাঝে গড়ে ওঠা এই পার্কটিতে বিরাজ করে নির্মল এক সবুজাভ পরিবেশ।
চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাছপালা পার্কটিকে আরও মনোরম ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সারি সারি ঝাউ গাছ দেখে দর্শনার্থীরা কক্সবাজার আমেজ অনুভব করে। দেশ-বিদেশী বাহাড়ি ফুলে যে কারো মনকারে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জন্য পার্কটিতে নানা রকম বিনোদনের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। এটির ভিতরে রয়েছে একটি পুকুর এবং ওয়াটার রাইডের ব্যবস্থা।
এছাড়া এখানে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের খাবারের জন্য মিনি চাইনিজ ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সাথে রাখা হয়েছে একটি বিভিন্ন স্বাদের চায়ের স্টল। চা স্টলের নানা ধরনের চায়ের স্বাদ নিতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ মূল্য মাত্র ৫০ টাকা।
পার্কটির স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ব্যস্ততম জীবনে একটু স্বস্তি ও আনন্দ পেতে হলে বেড়ানোর কোন বিকল্প নেই। আর সেটা যদি হয় প্রাকৃতিক কোন নিরিবিলি পরিবেশে পার্ক বা রিসোর্ট। নিজের উদ্যোগে একটু একটু করে গড়ে তুলেছি এ পার্কটিকে। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে অনেকেই ঘুরতে আসছে।বর্তমানে লোকজন পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে এখানে এসে নিরিবিলি পরিবেশে সময় পার করছে। আশা রাখছি এ পার্কটি ভ্রমন পিপাসুদের কাছে প্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।