ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার |মোংলা
নানা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় মোংলা নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের দুইটি যুদ্ধ জাহাজ বিএনএস কপোতাক্ষ ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান। ২৬ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই যুদ্ধ জাহাজ দুটি দেখতে মোংলা শহর ও পার্শ্ববর্তী রামপাল, দাকোপ উপজেলা থেকেও ছুটে আসে মানুষ। স্বাধীনতা দিবস উপলে বাহারি রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয় সমুদ্রগামী বিএনএস কপোতাক্ষ ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান জাহাজ দুটি। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন ও দ্বিগরাজ নৌঘাটিতে এমন সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশে জাহাজ দেখার সুযোগ পেয়ে খুশিতে মাতোয়ারা বিভিন্ন প্রন্ত থেকে ছুটে আসা লোকজন। দেশের ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী গভীর সমুদ্র এলাকায় সমুদ্র সম্পদ ও দেশীয় সীমানা সুরা ও মৎস্য সম্পদ রণাবেনে অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করে যাচ্ছে। এই জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে বলা হয় সমুদ্রের অভিভাবক ও নৌবাহিনীকে বলা হয় দেশের নৌ-সিমানা রক্ষক। বিসিজিএস কামরুজ্জামান কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি অফশোর পেট্রোল ভেসেল (ওপিভি)। এটি দেশের সমুদ্র সীমায় সর্বদাই টহলকাজে নিয়োজিত।
ইতালী থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের যে চারটি জাহাজ সংগ্রহ করা হয় তারমধ্যে ‘বিসিজিএস কামরুজ্জামান’ অন্যতম। জাহাজটি ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর কোস্টগার্ডে কমিশন লাভ করেণ। নৌবাহিনী ও কোস্টগড়ার্ড জাহাজ দুটি গভীর সমুদ্রে গমন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কর্মকান্ড, দেশের সিমানার সংরক্ষন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রা এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরে সকলেই খুশি এবং জনসাধারণের মাঝে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সম্পর্কে ইতিবাচক দিক প্রকাশ পেয়েছে বলে জানায় দর্শনার্থীরা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।