ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | মোংলা
মোংলা বন্দরের একটি বানিজ্যিক জাহাজ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পাচারের সময় বিদেশী সিগারেট সহ কানাইনগর এরাকার রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজন (২৮) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। শুক্রবার (৩১ মার্চ) গভীর রাতে কানাইনগর গুচ্ছগ্রাম এলাকার বেড়ী বাধ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটককৃত রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজন ওই এলাকার কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে। বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ জানায়, কানাইনগর গুচ্ছগ্রাম এলাকার পশুর নদীর বেড়ী বাধের পাশে জাহাজ থেকে নদী পথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কিছু চোরকারবারী বিদেশী সিগারেট পাচার করছে গোপন খবর আসে পুলিশের কাছে। এমন সংবাদের সুত্রধরে ওসি মনিরুল ইসলামের নির্দেশনায় এসআই মামুন শেখ, মোঃ মিরাজ হোসেন ও এএসআই মোঃ জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ সেখানে অভিযানে যায়।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থল থেকে ধাওয়া করে রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজনকে আটক করে পুলিশ। বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক সুজনের কাছ থেকে ৯৫০ প্যাকেট বিদেশী সিগারেট উদ্ধার করা হয়। আর পালাতক আসামী হলো কানাইনগর এলাকার মৃত সোবাহান হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৫৪) ও মৃত ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হাই (৪৭) সহ আরো কয়েকজন। সুজন, ইদ্রিস ও আব্দুল হাই সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানার এসআই মামুন শেখ বাদি হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। শনিবার দুপুরে আটক সুজনকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মোংরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, চোরাই পথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশী সিগারের পাচার করছিল একদল চোরাকারবারী। তাই পুলিশের অভিযানে তাদের এক সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তবে এর মুল হোতা বা চোরাকারবারীর প্রধান এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তদন্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মোংলা বন্দর সহ এর আশপাশ এলাকর সুনার রক্ষার্থে পুলিশের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।