ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | মাগুরা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ শোনা যায়। সম্প্রতি উপজেলার রাজপাট হাইস্কুলে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্য নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে। অভিযোগকারী ব্যাক্তিরা হলেন সদস্য আব্দুল্লাহ মিয়া, ইউসুফ আলী, ইয়াদুল মোল্যা ও মহিদুল ইসলাম। সদস্যরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ও প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল যোগসাজশে এই নিয়োগ গুলো দিয়েছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য কমিটি গঠন করা হবে বলে তারিখ বিহীন একটি রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নেন, এখানে কিছু লেখা নেই কেন জানতে চাইলে, হেডমাস্টার বলেন পরে আমরা কাকে কেথায় কি দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা সুন্দর ভাবে লেখা হবে,আমরা সরল বিশ্বাসে তাদের সেই ফাঁকা খাতায় স্বাক্ষর করি। পরে আমরা জানতে পারি আমাদের সেই স্বাক্ষর গুলো নিয়োগের রেজুলেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এর পরবর্তীতে আমাদের জানতে পারি আয়া পদে ১১লক্ষ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে গত মে মাসে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আর এ মাসের ১৬ জুন সভাপতির ভাস্তের থেকে ১০লক্ষ টাকা নিয়ে অফিস সহায়ক পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের জন্য কোনো সার্কুলার দেওয়া হয়েছে কিনা সেটাও আমাদের জানানো হয়নি, এমনকি নোটিশ বোর্ডেও এটা লাগানো হয়নি, তারা স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য কাউকে এটা জানতে দেয়নি। আমরা শিক্ষা অফিস ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অফিসসহ সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এই অবৈধ, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতারণা করে নেওয়া স্বাক্ষরের নিয়োগ বাতিল করে একটা ফেয়ার নিয়োগ দেওয়া হোক। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল বলেন, প্রতারণা করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি এবং টাকা নেওয়ার বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন। নিয়োগের জন্য টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি, যারা পরীক্ষার সময় ভালো করেছে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিকে অন্যান্য বিষয়ে প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে যান এই শিক্ষক। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন সব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সভাপতি ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসের মুঠোফোনে তাকে না পেলে তার বাড়িতে গেলে তার পরিবার থেকে বলা হয় তিনি অসুস্থ হাত ভেঙ্গে গেছে। তাই চিকিৎসার জন্য শহরে ডাক্তার দেখাতে গেছেন। মোবাইল ফোনে অনেক বার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ওই হাইস্কুলের নিয়োগসহ নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সচেতন মহল মনে করছেন স্কুলের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে শৃঙ্খলার রক্ষা করে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ ম্যানেজিং কমিটির সবাইকে নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্কুলটিকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।